স্যোশাল মিডিয়ায় ছেলেদের থেকে মেয়েরা দ্বিগুণ হারে নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের স্কুলশিক্ষার্থীদের ওপর করা সাম্প্রতিক একটি বড় গবেষণা এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণাটিতে সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সি প্রতি পাঁচজন মেয়ের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করায় পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বা মনোযোগে ঘাটতির মতো সমস্যায় ভুগছেন তারা। ছেলেদের ক্ষেত্রে একই বয়সে এই হার যথাক্রমে ১০ দশমিক ১ ও ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
১৩ বছর বয়সি লয়েস জানায়, ‘কখনো কখনো শুধু সময় কাটানোর জন্য ফোন হাতে নিই। কিন্তু বুঝতেই পারি না কখন দুই ঘণ্টা পেরিয়ে যায়! এটা মাঝেমধ্যে ভয় পাইয়ে দেয়।’
গবেষণায় অংশ নেওয়া অনেকে জানিয়েছে, খেলাধুলা বা শখের কাজ বাদ দিয়ে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিচ্ছে।
পিএইচডব্লিও-এর স্বাস্থ্য উন্নয়ন পরামর্শক এমিলি ভ্যান দে ভেনটার জানান, মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশি সময় রাতেও ডিভাইস ব্যবহার করে এবং বেশি রিপোর্ট করে যে তারা সাইবার বুলিয়িংয়ের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু সুবিধা থাকলেও টিনএজারদের মানসিক স্বাস্থ্যর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট। বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও আত্মমূল্যায়নের ঘাটতির পেছনে এটি একটি বড় ভূমিকা রাখছে।’
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, রাতে ডিভাইসের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা, ঘুমানোর ঘরে ফোন না রাখা এবং ঘুমের আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশ না করার অভ্যাস তৈরি করলে সমস্যা কিছুটা কমে আসতে পারে।