শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

পথচারীর চোখ জুড়াচ্ছে সড়কের পাশের “কৃষ্ণচূড়া ফুল”

সালাহউদ্দিন শুভ / ৩৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

বৈশাখ মাসের শেষের দিকে এসে প্রকৃতিতে বিরূপ আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। কখনো দেখা মিলছে রোদ, কখনো ঝড়-বৃষ্টির। এই আবহাওয়ার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভানুগাছ সড়কের পাশে প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের লাল রং, যা দেখে চোখ জুড়ায় পথচারীর। পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের পথে-প্রান্তরে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুল এবং সোনালুর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে জেলার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের ধারে কৃষ্ণচূড়া গাছে লাল রঙের ফুল ফুটেছে। উপজেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার সদর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও পথঘাটসহ সহ বিভিন্ন গ্রামের সড়ক ও রাস্তায় নানান গাছের মাঝে ফুল ফোটায় স্বাতন্ত্র্য জানান দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়াগাছ।

দেখা মেলে, শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ সড়কের বধ্যভূমি ৭১ এর সামনে থেকে শুরু করে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো কৃষ্ণচূড়া। মনকাড়া সৌন্দর্য সড়কের উভয় পাশের চা বাগানের সেই সবুজকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার মনকাড়া সৌন্দর্য। সবুজ চিকন পাতা। ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ার লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা এক অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন শোভা। ঠিক এমনি প্রকৃতি অপরূপ লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সাজে সাজিয়ে তুলেছে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক। যেকোনো বাসযাত্রী ও পথচারীদের হৃদয় কাড়ে নয়ন জুড়ানো এসব কৃষ্ণচূড়া।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কম-বেশি কৃষ্ণচূড়াগাছ আছে। এসব গাছে ইতিমধ্যে ফুল ফুটেছে। ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছে পথচারীরা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা শিমুল তরফদার বলেন, ‘চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের পথে-প্রান্তরে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুল এবং সোনালুর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এখন ফুলে পরিপূর্ণ গাছগুলো। রাস্তার ধারে কৃষ্ণচূড়ার গাছটিতে ফুল ফোটায় সড়কটি দেখতে অসাধারণ লাগে। তিনি বলেন, শহরের ভানুগাছ রোড, কালিঘাট রোডসহ উপজেলার বিভিন্ন অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও পথঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ছে কৃষ্ণচূড়া এবং সোনালু ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য।’

সিলেট থেকে ঘুড়তে আসা শিক্ষার্থী অনুরাধা কর জানান, ‘গাছে-গাছে বর্ণিল সব ফুলের সমারোহ। কোথাও টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া, কোথাও কমলা রঙের রাধাচূড়া। কোথাও আবার ছেয়ে আছে স্নিগ্ধ বেগুনি রঙের জারুল। পথ চলতে থমকে দাঁড়িয়ে এসব ফুলের দিকে কিছুক্ষণ চাননি, এমন মানুষ পাওয়া ভার হবে নিশ্চয়ই। আর মিষ্টি হলুদ রঙের সোনাঝরা সোনালুর ঝলমলে চাহনি গ্রীষ্মের রূপে যোগ করে দ্বিগুণ মাত্রা। তিনি বলেন, চায়ের রাজ্য এমনিতেই সুন্দর, এখন আলাদা করে আরও সুন্দর করে তুলেছে রাস্তার দুপাশের ফুলগুলো। এই ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলেছে নতুন রূপে।’

কমলগঞ্জ উপজেলার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ধারে কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ রয়েছে। এই ফুল সড়কের ধারে ফুটলে প্রকৃতি দেখতে বেশ মনোমুগ্ধকর হয়। তিনি বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার ধারে কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে অত্যন্ত সুন্দর দেখাবে।’

প্রকৃতিপ্রেমী ও সাংবাদিক আশরাফ সিদ্দিক পারভেজ বলেন, ‘কৃষ্ণচূড়া একটি জনপ্রিয় ফুল। নানা বৈশিষ্ট্যে দৃষ্টিনন্দন এ ফুলের কদর রয়েছে সব মহলেই। বিশেষ করে বাংলা কাব্য, সাহিত্য, সংগীত ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা বিস্তরভাবে উঠে এসেছে। ফুলটির রং এত তীব্র যে অনেক দূর থেকেই চোখে পড়ে। হঠাৎ দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কৃষ্ণচূড়া গাছে যেন লাল রঙের আগুন লেগেছে।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর