নীলফামারীতে এক অটোরিকশার চালকের গলা কেটে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
ছিনতাই করা অটোরিকশাসহ ঢেলাপীর এলাকা থেকে একজনকে এবং তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি দুইজনকে গাছবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের মধ্য সুটিপাড়া ফুলতলা এলাকার মো. রাসেল মিয়া (২২), উত্তর হাড়োয়া পঞ্চপুকুর এলাকার ফেরদৌস আলম (৩৫) ও নীলফামারী পৌরসভার বাড়াই পাড়া এলাকার জলিল ইসলাম ইসলাম ওরফে পিনিক বাবু (৩০)।
প্রাণ হারানো ছাপিনুর রহমান (৫৫) সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম।
তিনি বলেন, শহরের ধনি পাড়া তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় রোববার রাত ১২টার দিকে যাত্রীবেশে ছাপিনুরের অটোরিকশায় ওঠেন তারা। এরপর জনশূন্য রাস্তায় নিয়ে গিয়ে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করেন। চালক তাদের বাধা দিলে পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, তারা বিষয়টি টের পেলে ছাপিনুরকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অ্যাম্বুলেন্সে রংপুর যাওয়ার সময় রাতেই মারা যান ছাপিনুর।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশের তিন থেকে চারটি টিম অভিযান শুরু করে। তারই প্রেক্ষিতে ছিনতাই করা অটোসহ ঘাতক রাসেল মিয়াকে ঢেলাপীর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ফেরদৌস ও জলিলকে গাছবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।