মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
তালামীযে ইসলামিয়া নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে ছাত্রসমাজকে বিরত রাখতে কাজ করছে–এস এম মনোয়ার হোসেন বাবা ও মেয়ের গলায় দা ধরে ছিনতাই- গ্রেফতার দুই মৌলভীবাজারে হবিগঞ্জী বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, সড়ক অবরোধ-বাস ভাঙচুর  কমলগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে পূজা উদযাপন পরিষদের বৃক্ষরোপন আমিরের সুচিকিৎসা নিয়ে জামায়াতকে খোলা চিঠি আমরা জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে বেরিয়ে ক্ষমতার জন্য লড়ছি: মির্জা ফখরুল কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে: আইন উপদেষ্টা শ্রীমঙ্গলে কাভার্ডভ্যানের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১ জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, জরুরি বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক / ৬৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ১১ জনের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় চার, রাঙামাটিতে তিন, কক্সবাজারে দুই এবং খাগড়াছড়ি ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল ও সন্ধ্যায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), চান্দিনার কিছমত শ্রীমন্তপুর গ্রামের দৌলতুর রহমান (৪৭), বুড়িচংয়ের পাঁচোড়া নোয়াপাড়া গ্রামে আলম হোসেন (৩৫) এবং দেবিদ্বারের ধামতী গ্রামের মোখলেসুর রহমান (৫৮)।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

অন্যদিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরও দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

নিহত বাবুল আহমদ (৪৮) উপজেলার দক্ষিণ কুয়রেরমাটি গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- নিহত বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।

স্থানীয়দের বরাতে কানাইঘাট থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাসকে নিয়ে বাবুল আহমদ স্হানীয় শফিক হাওয়রে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে তারা গুরুত্ব আহত হন।

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

খাগড়াছড়িক মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর