মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ফিল্মী স্টাইলে কলেজছাত্রীকে তুলে নিল খালেদ আহমদ (২৫)। অপহৃত ওই তরুণীর নাম জুহিনা আক্তার তারিন। অপহৃত শিক্ষার্থী মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান শাখার ৪র্থ ( ফাইনাল)বর্ষের পরীক্ষার্থী। অপহরনকারী খালেদ আহমদ কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামের চেরাগ মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুন্সীবাজার এর বেঙ্গল ফুডের সামন এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় ভাই ইমরানুল হক বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় খালেদ আহমদ সহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জুহিনা আক্তার তারিন সরকারি কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। কলেজে আসার পথে প্রায় সময় বকাটে খালেদ আহমদ তাকে উক্তাক্ত করতো। এ নিয়ে সামাজিক ভাবে সালিশ বিচার হলেও কোন সমাধান হয়নি। পরে কমলগঞ্জ থানায় তারিনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটা সাধারন ডায়রী করা হয়। ডায়রীতে খালেদের উক্তাক্ত বিষয় তুলে ধরা হয়।
আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা দিকে পরীক্ষা দেওয়ার কলেজের ফাইনাল বর্ষের সমাপনি পরীক্ষা দিতে গেলে মুন্সিবাজার থেকে সিএজি যোগে মৌলভীবাজার যাওয়ার পথে গাড়ি আটক করে জুহিনা আক্তার তারিনকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় জুহিনা আক্তার তারিনের সাথে থাকা মেয়েকে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে যায়। পরে ঐ মেয়েকে স্থানীয় ফার্মেসীতে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
অপহরনকারী খালেদ আহমদ এর বাবা চেরাগ মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়।
অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় ভাই ইমরানুল হক জানান, খালেদ আহমদ খুব খারাপ ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে আমার বোনের সাথে খারাপ আচরন করে আসছে। আমরা এ বিষয়ে তার পরিবারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা কোন পাত্তা দেয়নি। পরে কমলগঞ্জ থানায় একটা সাধারন ডায়রী করি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমার বোন পরীক্ষারে উদ্যেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে উৎ পেতে থাকা খালেদ ও তার সহযোগীরা মিলে আমার বোনকে তুলে নিয়ে যায়। আমার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক অপহরনের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় প্রথমে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’