সারাদেশে বইছে তীব্র দাবদাহ অন্যদিকে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ঘিরে ছিল উত্তজেনা পূর্ণ মুহুর্ত। খেলাটিকে স্বরনীয় করে রাখতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলিয়াছড়া পুঞ্জির ফুটবল মাঠে এলিভেন স্টার ক্লাব সুপার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মেগা ফাইনাল খেলায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি থেকে আসা নারী,পুরুষ,বৃদ্ধা,ও শিশুসহ ফুটবল প্রেমী দর্শকদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে আয়োজকদের।
তিল ধরনের ঠাই ছিল না মাঠের চারপাশ। ফুটবল প্রেমীদের মিলন মেলায় পরিনত হলো ফাইনাল খেলাটি। উত্তেজনা পূর্ন ফাইনাল খেলাটি উপহার দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয় রেখেছিল মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সিঙ্গুর পুঞ্জির রেনটিলাং স্পোর্টং ক্লাব বনাম ইসাছড়া এফসি।
বিকাল ৪ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ১-০ গোলে ইসাছড়া পুঞ্জি স্পোর্টং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনাল খেলার প্রথমার্ধে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ইসাছড়া এফসির ডমিনিক তালাং।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আলিয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মান্রী ও খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি উটিয়ান তংপের, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শ্রী কুমার কৈরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক ও লাউয়াছড়া পুঞ্জির মান্রী ফিলা পতমী, আলিয়াছড়া পুঞ্জি এলিভেন স্টার ক্লাবের উপদেষ্টা, মার্কিন তংপের, আলিয়াছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দেব, পুঞ্জির সহকারী মান্রী হোমলি নাজের, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য রনাল তংপের, খাসি লেখক ও গবেষক রুশ পতাম প্রমুখ। উত্তজেনাপূর্ণ ফাইনাল খেলা উপভোগ করতে সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা,মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি থেকে আগত দর্শকদের উপস্থিতিতে আলিয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির ফুটবল মাঠে তিলধরনের ঠাই ছিলনা। কানায় কানায় দর্শকপূর্ন ছিল মাঠের চারপাশ।
মাসব্যাপী চলা এ টুর্নামেন্টে মোট ৩২ টি খাসিয়া পুঞ্জির ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে। ম্যাচ শেষে বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার্স আপ দলের হাতে ট্রফি ও প্রাইজমানি নগদ ১লক্ষ টাকা ও রানার্স আপ দলের কাছে ট্রফি ও প্রাইজমানি নগদ ৩০ হাজার টাকা আমন্ত্রিত অতিথিরা তুলে দেন।
ফাইনাল খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন সেমিফাইনালে পরাজিত পুটিছড়া পুঞ্জির দলের খেলোয়াড় আলাউদ্দিন এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা চ্যাম্পিয়ন দলের ওয়ানটিমন। পুরো টুর্নামেন্টের রেফারির দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হবিগঞ্জ জেলার তালিকাভুক্ত রেফারি আব্দুস শহীদ, সহকারী ছিলেন মো. সামছুল হক ও মো. রুহুল আমিন। খেলা শেষে দর্শকদের জন্য ছিল বিশেষ লাকী কুপন ড্র ও পুরস্কার।