মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সম্প্রতি ১ জনকে অভিযুক্ত করে কমলগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন আদমপুর ইউনিয়নের সাবেক সার্জেন্ট (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা হাজী মো. জয়নাল আবেদীন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
মামলায় অভিযুক্ত হলেন- কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসান জুয়েল।
মামলার এজহারে বাদি অভিযোগ করেছেন, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসান জুয়েল গত ২১মার্চ দিবাগত রাতে সেহেরি খাওয়ার সময় ১০-১২ জন লোক গাছ কাটার সকল যন্ত্রপাতি নিয়া আদমপুর বাজার দক্ষিণ চৌহমুনা কোনাগাঁও ইব্রাহিম ক্যাপ্টেন রোডে জেলা পরিষদের রোড হতে প্রায় আধা কিলোমিটার পূর্ব দিকে দূরত্বে রাস্তার উভয় পার্শ্বে আকাশ মনি ট্রীপ বাগান হইতে বাছাইকৃত বড় গাছ পাচঁ (০৫)টি কাটার সময় নিয়োজিত গাছ পাহারাদার শব্দ শুনিয়া দৌড়ায়া আসিলে উল্লেখিত মেহেদি হাসান তাফেল এবং তার সঙ্গিরা নিয়ে পাহারাদারকে মাত্রার জন্য নৌড়াইয়া নিয়ে যায় এবং গাছ কাটিয়া গাড়িতে লোড করিয়া গাছগুলি দক্ষিণ দিকে একটি পিকাপ গাড়িতে নিয়া যায়। তাছাড়া অনেক গাছের অর্ধেক কাটিয়া রাখিয়া দিয়াছে। আমরা সাথে সাথে ৯৯৯ কল করিলে কমলগঞ্জ থানা থেকে এএসআই আলামিন ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া কাটা গাছগুলো দেখেন এবং ছবি তুলেন স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য নেন এবং থানার অভিযোগ করার জন্য আমাদেরকে পরামর্শ দিয়ে যান।
অভিযোগকারী আদমপুর ইউনিয়নের সাবেক সার্জেন্ট (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা হাজী মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আজ ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ৭ নং আদমপুর ইউনিয়নের (৩২২০) কোনাগাঁও সড়কের সামাজিক বনায়নের গাছ রাতের আধারে কেটে নিয়ে যায় কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার মৃত জব্বার মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসান জুয়েল গাছ কেটে নিয়ে যায়। ৯৯৯ ফোন করার পর পুলিশ আসে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের ভিতরে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ ব্যাপারে জানতে মো. মেহেদী হাসান জুয়েল এর মোটোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কমলগঞ্জ রাজকান্দি রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) প্রীতম বড়ুয়া বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে জানতে পেরেছি। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।