পরে রাতে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা ও মাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকায় রফাদফা করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষক ইব্রাহিমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম সুনামগঞ্জ জেলার বিঞ্চামপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তারাব পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেলের বড় ভাই রুবেলের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শিশুটির পরিবার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় তানসেন নামে একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ইব্রাহিম রূপসী বাঘবাড়ি ব্রিজ এলাকায় কাচাঁমালের ব্যবসা করেন। ইব্রাহিম শিশুটিকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার দোকানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ সময় জালালের স্ত্রী ইব্রাহিমের দোকানে শুটকি কিনতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে বিকেলে শিশুটি তার বাবা ও মাকে বিষয়টি জানায়। শিশুদের বাড়িওয়ালা তানসেন ও তারাব পৌরসেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেলের বড় ভাই রুবেল ও স্থানীয় প্রভাবশালী পলিনসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণের বিষয়টি ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা শিশুর পরিবারকে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে রুবেলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে বাড়িটি ঘিরে রাখেন। এ সময় উত্তেজনা বাড়তে দেখে রুবেল ও তানসেন মিলে ইব্রাহিমকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালাতে সহযোগীতা করেন। রাত ১১টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পৌছাঁন।
শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ের বয়স ৭ বছর। আমি দিনমজুরের কাজ করি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আমি কাজ থেকে এসে শুনতে পারি আমার ৭ বছরের মেয়েকে ইব্রাহিম ধর্ষণ করেছে। আমি এখানে ভাড়া থাকি। বাড়িওয়ালা তানসেন ও রুবেলসহ কয়েকজন মিলে আমাকে চাপ দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দেবে বলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন। আমি মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাই।
তিনি বলেন, ইব্রাহিম আমার মেয়েকে এর আগেও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। সে বলেছে যদি কাউকে এ কথা বলে তাহলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি ধামকি দিয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, আমিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছি। ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলা হচ্ছে। বাকি ঘটনা পরে বলা যাবে।