শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

উপজেলা নির্বাচন: দলের ঐক্য ধরে রাখাই আ. লীগের বড় চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক / ৬১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশক শেষ হচ্ছে আজ। সাধারণ মানুষের ভাবনা এখন ঈদ উদযাপন ও ঈদ যাত্রা নিয়ে। তবে তৃণমূলে রাজনীতিবিদদের ভাবনায় এবার ঈদের পাশাপাশি আছে উপজেলা নির্বাচনও। মাহে রমজানে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অঘোষিত নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা বিনিময়ে করতে শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যে ৪ ধাপে ৩৪৪টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রথম ধাপে ১০৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ১২১, তৃতীয় ধাপে ৭৭ ও চতুর্থ ধাপে ৩৮টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম ধাপে কোন উপজেলাগুলো নির্বাচনের আওতায় আসছে সে তালিকাও দিয়েছে ইসি।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন দলের নেতা-কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর দেখা গেছে প্রায় সব উপজেলায়ই দলের একাধিক নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। এতে ভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্য বিভাজন ও দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করছে। ফলে এই বিভেদ মিটিয়ে দলীয় ঐক্য ধরে রাখাই এখন শাসক দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতেই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সে সময় জানান, জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় এর ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতে আছে। উপজেলা নির্বাচনে সেসব সমস্যা দূর করে একটি ভালো নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চান তারা। এরপর ইসির নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে গেছে অনেক দূর। নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি। তবে মেয়াদ পূরণ হওয়ায় প্রথম চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ৩৪৪টি উপজেলায় ভোট।

স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের দাম বাড়িয়ে ইতোমধ্যে আলোচনায় আছে ইসি। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন ফি চারগুণ বেড়েছে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্রের দাম-যা আগের নির্বাচনের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। গত নির্বাচনে ১০ হাজার টাকা দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়নপত্র কেনা গেলেও এবার সেজন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গুণতে হবে এক লাখ টাকা। বেড়েছে ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফিও। তারপরও এ নিয়ে তেমন কথা নেই। প্রার্থী হতে ইচ্ছুকরা দলের নেতাসহ সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা সারছেন, নিজেদের মাঠ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন ভেতরে ভেতরে। এদিকে ইসির ব্যস্ততাও অনেক। এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্র বাছাই চলছে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। নির্বাচন কমিশনাররা দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানছেন, করছেন মতবিনিময়। এমন কর্মসূচি চলবে ভোটের আগ পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৪ মে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনের প্রথম পর্বের তফশিল ঘোষণা হবে ঈদের আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই।

তবে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা জোট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ আনতে ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রতীক ছাড়াই এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর নীতিনির্ধারণী বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, এ নির্বাচনে দল থেকে কোনো প্রার্থী নির্ধারণ করে দেওয়া হবে না। ফলে উপজেলা নির্বাচনে দল থেকে যার ইচ্ছা তিনি ভোট করতে পারবেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন শেষে দলের অন্য নেতা-কর্মীদের স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তও দারুণ ফলপ্রসূ হয়, দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৫৮ জন দলের ও জোটের প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে তারা সরকার সমর্থিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে এখন স্বীকৃত। এ ছাড়াও সরকার সমর্থিত ৫৮ জনসহ মোট ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের কোটা সরকারি দল গ্রহণ করে গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনও সম্পন্ন করেছে। ৫০ জনের মধ্যে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যও এখন সরকারি দলের।

তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সদস্যরা মাঠে থাকায় ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নে এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের দলীয় দূরত্ব তৈরি হয়। এই দূরত্ব উভয়পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ভেদাভেদ স্পষ্ট করে তোলে। নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরও কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। যার জেরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন কর্মী নিহত হন। এ ছাড়াও বাড়িঘর ভাঙচুর, প্রতিপক্ষকে শাসানো, ভয় দেখানো, এলাকায় চলাচরে বাধাদানের মতো ঘটনাও ঘটে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রবিবার বাগেরহাটের মোংলার চিলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক হালিম হাওলাদারের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের সমর্থক বেল্লাল সরদারের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বেল্লাল ও তার জামাই সাইদুল শেখকে কুপিয়ে জখম করে এবং একটি শিশুকেও মারধর করে।

এমন পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত পদ্ধতির উপজেলা নির্বাচন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কতটা বিভেদ বা দূরত্ব বাড়াতে পারে এবং নির্বাচনের পরপরই সেই বিরোধ ও দূরত্ব কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কপালে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এ পরিস্থিতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক এখন বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে বৈঠক করছেন। জানিয়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

সাধারণত জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও স্থানীয় নির্বাচনগুলো স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে বেশি আগ্রহের সৃষ্টি করে। এর বড় কারণ প্রার্থীদের সবাই থাকেন পরিচিত এবং একই পরিমণ্ডলের। এ ছাড়াও এলাকার রাজনীতির নানা মারপ্যাঁচ, নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা ও বঞ্চনা, এলাকাপ্রীতি, আত্মীয়তা ইত্যাদি সম্পর্ক ও টানাপড়েন স্থানীয় রাজনীতিতে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তবে দলীয় প্রার্থী হলে প্রার্থীরা এসব জটিলতা থেকে কিছুটা মুক্তি পান, দলীয় প্রতীক ভোটারদের কাছে টানে, দলের নেতারা বিভিদ-বিরোধ কমাতে উদ্যোগী হন। কিন্তু, যেহেতু এবার দলীয় প্রতীক ছাড়া মুক্ত নির্বাচন, তাই দলীয় প্রভাবের চেয়ে স্থানীয় ইস্যু ও এলাকাপ্রীতি এই নির্বাচনে বেশি প্রভাব রাখবে। আর তাতেই দলীয় নেতাদের মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে পুরনো বিরোধ, মতানৈক্য, ভিন্ন প্রার্থীকে সমর্থন ইত্যাদি বিষয়। বিগত সময়ে এভাবেই প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হওয়ায় পোড় খাওয়া ক্ষমতাসীন দল তাতে ভীত নয়, তবে দীর্ঘদিন ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকায় যদি দলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে বড় বিভেদ তৈরি হয় তা সামাল দেওয়া এবং নির্বাচনের পরে দলীয় ঐক্য ধরে রাখা নিয়ে দলের কেন্দ্রে আছে নানা আলোচনা।

বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টাকে বড় করে দেখছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্থানীয় জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে নিজের প্রার্থীকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে তৃণমূলের কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া, পছন্দের লোকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া ইত্যাদি সমস্যারও সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি পটুয়াখালীতে একজন মন্ত্রী কারও সঙ্গে আলাপ ছাড়াই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করার পর ওই উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় গতকাল বেশ কড়া বার্তা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কেউ কোনো থানা বা উপজেলা কমিটি গড়তে পারবে না, ভাঙতেও পারবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারও নিজের ইচ্ছায় কোনো কমিটি গঠন করতে পারবেন না। আপনারা কোনো থানা বা উপজেলা কমিটি গড়তেও পারবেন না, ভাঙতেও পারবেন। আপনাদের কোনো কথা থাকলে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করবেন- এই কারণে ওই কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আপনারা ভাঙবেন কেন? অনেক সময় দেখা যায় উপজেলা বা থানা কমিটি ভেঙে দিয়েছে কিন্তু কেন্দ্র জানে না। আওয়ামী লীগে এটা হতে পারে না।’

আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, ‘নিজের পকেট থেকে কমিটি করবেন, পকেটের কমিটি আমরা চাই না। কমিটি করবেন দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের দিয়ে। আজকে দুই পকেটে দুজন নেতা নির্বাচন, এই ধরনের নেতৃত্ব দলের কোনো কাজে আসবে না। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি গঠন করতে হবে।’

নিজের দলের ভেতরের শত্রু তাড়াতে হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আপন ঘরে যার শত্রু তার শত্রুতার জন্য বাইরের শত্রুর দরকার নাই। আপন ঘরের শত্রু তাড়াতে হবে। আপন ঘরে শত্রু রেখে কোনো দিনও স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য সফল হবে না।’

এ সময় ঘরের সমস্যা নিজেদের মধ্যেই সমাধান করে ফেলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে নিজেরা সমাধান করবেন। না পারলে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি আছে, তারাও না পারলে আমাদের নেত্রী আছেন। ঘরের সমস্যা আমরা ঘরেই সমাধান করব। ঘরের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে শত্রুতা, জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় এমনটাই হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

এ সময় রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নিয়েও সমালোচনা করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, বিএনপি কী বলল এটা বিচার করে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না বলে মন্তব্য করে কাদের বলেন, বাস্তব অবস্থার সঙ্গে তাদের চিন্তাভাবনা মিল নেই। এখানে নির্বাচনে ঘাটতি কোথায়? টার্ন আউট সন্তোষজনক। নির্বাচন নিয়ে যারা একসময় কথা বলত, নিষেধাজ্ঞার প্রশ্ন ছিল তারাও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি।

এর আগে গত জানুয়ারিতেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবনে ডেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে আপনাদের আমি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছিলাম। আপনাদের অনেকে আমার দেওয়া প্রার্থীকে হারিয়ে এখানে এসেছেন। এখন আপনারা স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবেই দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তবে দলের মধ্যে যাতে কোনো বিভেদ-ভেদাভেদ না থাকে সেদিকে আপনাদের সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে সেটা দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

এরপর দলের যৌথ কমিটির সভা ডেকে নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধ মেটানোর একাধিক উদ্যোগ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে সব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়েছে এমনটা মনে করছেন না দলেরই একাধিক নেতা। বিশেষ করে মাদারীপুরের একটি আসনে দলীয় প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপকে পরাজিত করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। ওই আসনে সাধারণ নির্বাচনের জেরে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন খুন হন। এরপরও বেশ কয়েক দিন বিভিন্ন গ্রামে সহিংসতা চলে। এসব ঘটনা উপজেলা নির্বাচনে এসে বড় বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায় কি না সেটাই এখন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর