সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
তালামীযে ইসলামিয়া নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে ছাত্রসমাজকে বিরত রাখতে কাজ করছে–এস এম মনোয়ার হোসেন বাবা ও মেয়ের গলায় দা ধরে ছিনতাই- গ্রেফতার দুই মৌলভীবাজারে হবিগঞ্জী বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, সড়ক অবরোধ-বাস ভাঙচুর  কমলগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে পূজা উদযাপন পরিষদের বৃক্ষরোপন আমিরের সুচিকিৎসা নিয়ে জামায়াতকে খোলা চিঠি আমরা জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে বেরিয়ে ক্ষমতার জন্য লড়ছি: মির্জা ফখরুল কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে: আইন উপদেষ্টা শ্রীমঙ্গলে কাভার্ডভ্যানের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১ জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, জরুরি বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশে কী ঘটতে যাচ্ছে ২০২৪ সালে

অনলাইন ডেস্ক / ৬০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

২০২৩ – ঘটনাবহুল একটি বছর অতিবাহিত হলো। আগের বছরের বয়ে আনা অনিশ্চয়তার মধ্যে এলো নতুন বছর, তবে হাতছানি দিচ্ছে সম্ভাবনাও।

বিশ্ব আর মন্দাবস্থায় নেই। সেই সঙ্গে বেশির ভাগ দেশে কমে আসছে মূল্যস্ফীতি, তবে দুটি জায়গায় যুদ্ধ, বিদ্যমান ও আসন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং অনিষ্পত্তিকৃত বাণিজ্যিক বিরোধ নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে।

শ্রমিক অধিকার, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আওয়াজ উচ্চকিত হচ্ছে। আবহাওয়াজনিত চরমভাবাপন্ন ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বের ৭০টি দেশের জন্য ২০২৪ নির্বাচনের বছর।

বিশ্বজুড়ে নতুন বছরে ক্ষমতায় আসা সরকারগুলোর সামনে অনেক বিষয়ই উঠে আসবে, যেগুলোর কোনো কোনোটি হয়তো তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে, তবে বেশির ভাগ সমস্যাকে মোকাবিলা কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে তারা।

ইকোনোমিক ইন্টেলিজেন্স তথা ইআই ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কী ঘটতে যাচ্ছে, সে সংক্রান্ত কিছু বিষয়কে সামনে এনেছে।

ভবিষ্যৎ চাকরির বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে নতুন নতুন দক্ষতা: এটি স্থানীয় ও বৈশ্বিক উভয় চাকরির বাজারের ক্ষেত্রেই সত্য। চাকরির অনেক ক্ষেত্র হারিয়ে যাচ্ছে, নতুন নতুন ক্ষেত্রের আবির্ভাব হচ্ছে। পরিবর্তন এত দ্রুতগতিতে হচ্ছে যে, ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবচেয়ে দরকারি দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে মানবসম্পদের ওপর তাদের বিনিয়োগের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে মানুষের জায়গা কতটা দখল করবে মেশিন, তা নিয়ে আলোচনা আছে। এ ছাড়া ভবিষ্যৎ চাকরির জন্য কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কতটা উন্নত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল শ্রমবাজারের জন্য বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে নীতিগত ব্যবস্থা কী নেওয়া হবে, তা নিয়েও চলছে আলাপ।
বৈশ্বিক জরিপের ভিত্তিতে আমাদের গবেষণা দল ২০২৩ থেকে ২০২৭ মেয়াদে বৈশ্বিক কর্মসংস্থান ও দক্ষতা সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়কে সামনে এনেছে।

পরবর্তী প্রসঙ্গ হলো বৈশ্বিক পোশাকের অর্থনীতিতে কী ঘটতে যাচ্ছে। পোশাক রপ্তানি বাজারে আমাদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা কঠিন আগামীর জন্য কীভাবে নিজেদের তৈরি করছে, সেদিকে নজর দেওয়া যায়। তারা প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যিক চুক্তি সইয়ের পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন করছে। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান গ্রিন ডিল নামের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে পরিবেশগত বিষয়ে নজর দিচ্ছে। আমরা মনে করি বিষয়গুলো আমাদের পোশাক শিল্পকে সজাগ করতে পারে, যেটি ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও ক্রয়াদেশ কমার মধ্যে শ্রমিক অধিকার ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে প্রচণ্ড চাপে আছে।

তৃতীয় প্রসঙ্গটি আমাদের সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়গুলোর একটি। এ পর্যায়ে কিছু পণ্য নিয়ে কথা বলা হবে, যেগুলোর প্রায় পুরো অংশই আমরা আমদানি করে থাকি। বৈশ্বিক পণ্যবাজারে যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার অর্থ হলো সরবরাহে ঘাটতি এবং গম, পেট্রল কিংবা তুলার মতো পণ্যের দাম বৃদ্ধি, যেগুলো আমাদের বাসাবাড়ি ও শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ববাজারে নৈরাজ্য তৈরির কারণগুলো সর্বত্র, যেগুলোর একটি চলে গেলে আরেকটি সামনে আসে। প্রথমে মহামারি, তারপর এলো যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা। আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে।

বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের পূর্বাভাস প্রসঙ্গে আমাদের গবেষণা দল বৈশ্বিক পূর্বাভাস বিশ্লেষণের পাশাপাশি বাজারের প্রবণতা বোঝার চেষ্টা করেছে, যা আমাদের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের সহায়ক হতে পারে।

আমাদের পরবর্তী প্রসঙ্গ বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুই বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে ভোক্তা ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে আস্থা, যা আমাদের জন্য, বিশেষত আমাদের রপ্তানি শিল্পের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ আমাদের রপ্তানিপণ্যের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ যায় এসব গন্তব্যে।

ইউরোপ ও আমেরিকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি শুধু তাদের জনগণের উদ্বেগের বিষয় নয়; এটি আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বড় বিষয়। কারণ ইউরোপ, আমেরিকাতে চাহিদা কমার অর্থ হলো আমাদের রপ্তানিকারকদের ব্যবসায়িক ক্ষতি, বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও কর্মসংস্থানের সম্ভাব্য কমতি।

আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারদের অবস্থা কেমন, তাও জানা দরকার। আমরা ‘পার্টনার ইকোনোমিজ আউটলুক’ অধ্যায়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের ছয়টি মূল অংশীদার নির্বাচন করেছি।

পরিশেষে ‘বাংলাদেশ ম্যাক্রোইকোনোমিক স্ন্যাপশট’ প্রসঙ্গে আমাদের পাঠকদের জন্য থাকছে সর্বশেষ পাওয়া ডেটার ভিত্তিতে আমাদের অর্থনীতি নিয়ে পর্যালোচনা।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর