মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুইজনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ওই এলাকার চান্দু মিয়ার ছেলে সামছুল ইসলাম শিমুল (৩৭) ও সাইফুর রহমান (২৬)। বর্তমানে আহতরা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
হামলাকারীরা হলেন- একই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মামুন মিয়া (২৬), লুৎফর মিয়া (২৪), আলিবুন বেগম (২১), মজম্মিল মিয়া (৫৫), আমিনুল মিয়া (১৯)।
সামছুল ইসলাম শিমুল এর থানায় করা লিখিত অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মামুন মিয়া, লুৎফর মিয়া, আলিবুন বেগম, মজম্মিল মিয়া, আমিনুল মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ হয়ে আসছে। এই বিরোধের জের ধরিয়া বিবাদীদের বিভিন্ন সময় সমস্যা হয়ে আসছে। তারা সবসময় ঝগড়া-বিবাদ করার সুযোগ খুজতে থাকে। গত মঙ্গলবার রাতে আমার বসত ঘরের সামনে হামলাকারী সবাই মিলে বাশের লাঠি, কাঠের রুইল, দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ইত্যাদি নিয়া আমার নাম ধরিয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করিলে প্রথমে মামুন মিয়া আমার মুখমন্ডলে নিচে বামপাশে খামর দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমার ভাই সাইফুর রহমানে এগিয়ে আসলে লুৎফর মিয়া হাতে থাকা বাশের লাঠি দ্বারা প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে সাইফুর রহমান মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে গুরুতর ফাঁটা রক্ষাক্ত জখম হয়। পরে অন্যান্য আসামীরা এলোপাতাড়ীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আমার ঘরে প্রবেশ করে বসত ঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ভাংচুর করে তারা।
এসময় সময় আমাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন আসলে আমরা প্রাণে রক্ষা পাই। ঘটনাস্থলে বিবাদীগন আমাদের প্রাণে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি প্রদর্শন করে।
অভিযোগকারী সামছুল ইসলাম শিমুল জানান, ‘এই ঘটনায় আমি ও আমার ভাই আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিএনজি যোগে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থা কমপ্লেক্সে গেলে কর্তাব্যরত ডাক্তার আমি ও আমার ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই বিষয়ে আমি ৫জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে কমলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, ‘থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সামছুল ইসলাম শিমুল। তদন্তক্রমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’