সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

সড়কে ইটভাটার মাটি,ঘটছে দুর্ঘটনা; মিলছেনা সুরাহা

সালাহউদ্দিন শুভ, প্রতিদিনের মৌলভীবাজার / ৮১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার জেলা। এই জেলার উপজেলা গুলোর সড়ক পথ এখন বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৭টি উপজেলার মধ্যে বিশেষ করে রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কে ইট ভাটাসহ বিভিন্নকাজে ব্যবহৃত মাটি রাস্তায় স্তূপাকারে পড়ে থাকায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খোলা যানবাহনে বহনের কারণে রাস্তার ওপর মাটি পড়ে থাকে, আর এসব মাটির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটছে। ইটভাটার মাটি সড়কে পড়ে থাকায় বিপাকে সাধারণ মানুষজন। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, মিলছেনা কোনো সুরাহা। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও জেলা প্রশাসক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

জানা গেছে, প্রায় ৬০টি মতো ইট ভাটা রয়েছে এ জেলায়। এরমধ্যে জেলা সদর, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলায় সংখ্যায় বেশি। তবে সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার, কুলাউড়া-বড়লেখা, ব্রাহ্মণবাজার ও রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে টানা হচ্ছে ইট ভাটার মাটি। এসব রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। শুকনো মৌসুমে এসব রুটে এই মাটি তেমন বিপদজনক না হলেও শীত মৌসুমে ভারি কুয়াশা ও বৃষ্টির পানিতে সড়কের ওপর পড়ে থাকা ওই মাটিগুলো কাঁদা হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়। এতে করে এই সব সড়কের চলাচল করা মোটরসাইকেল, বড় বড় ট্রাকসহ সকল প্রকারের যানবাহনের চাকা পিছলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান সড়কপথ দিয়ে ভাটাগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয় মাটি। মাটি বহনের জন্য ইঞ্জিনচালিত যান ট্রলি, ট্রাক্টর ও ট্রাক ব্যবহার করা হয়। এসব খোলা যানবাহনে মাটি বহনের কারণে রাস্তার ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে মাটি, পরে আর রাস্তা পরিষ্কার করে না কেউ। ওই মাটি রাস্তায় পড়ে থাকায় রাস্তা চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ছোট-বড় যানবাহন ও মোটরসাইকেল আরোহীরা প্রায় সময় ভোগান্তির শিকার হন এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়ে থাকেন। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। ইটভাটার ট্রাক্টরের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে।

সালাহউদ্দিন নামে মোটর সাইকেল আরোহী জানান,মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি শুকিয়ে ধুলা আর বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হয়। এতে করে সাইকেল চালাতে গিয়ে প্রায় দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। আইনশৃঙ্গলা বাহিনিও এগুলো দেখেন না। যে যার মতো করে খোলামেলা যানবাহনে এসব মাটি ও বালি নিয়ে চলাচল করছেন। বছর জুড়েই সড়কগুলোতে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ অবস্থায় খুবই সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়।

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ বলেন, ‘সড়ক কাদামুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দেওয়া হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের ভিতরে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এদিকে জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, এসব বিষয় আমার জানা ছিল না, মাত্র জানতে পারলাম। অপরিকল্পিতভাবে মাটি পরিবহনের সময় সড়কের ওপর মাটি ফেলানো হলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর