সিলেট রেল পথের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন এলাকার বৈধ দোকানদারদের উচ্ছেদের পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্টেশনের পার্কিং এলাকার বাহিরের বাণিজ্যিক লিজের দোকানগুলোর মালিকরা নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসলেও রেওলয়ে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা নিয়মিত তাদের উচ্ছেদের নামে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজেরদের পকেট ভারি করছেন।
জানা যায়, ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনের জায়গায় কমারর্শিয়াল ব্যবসার জন্য ৯৯ বছরের জন্য লিজ নেওয়া দোকানকোটা উচ্ছেদের জন্য পায়তারা করছে রেওয়ের কতিপয় অসাধু চক্র। ঐ চক্রটি বৈধ লিজ গ্রহিতাদের উচ্ছেদ করে রেলওয়ে ভূমি নিজ দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসা এসব দোকানদার উচ্ছেদ আতংকে আছে।আরও জানা যায়, এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে তবে মামলা লিজকতৃদের পক্ষে দিয়েছে আদালত। কিন্তু আদালত লিজকতৃদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল ৬০ দিনের মধ্যে। তবে এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
এদিকে লিজগ্রহিতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘আমরা ১৯৭৮ সালে সরকারের রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়েছি। দীর্ঘদিন আমরা লিজকৃত জায়গায় ব্যবসা করে আসছি। সময়মত সরকারের খাজনা পরিষদও করছি। কোনো সমস্যা হয়নি আজ পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎ মাঝে মাঝে আমাদের কিছু রেওয়ের কতিপয় অসাধু চক্র আমাদের উচ্ছেদের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের মাঝে মাঝে এসে হুমুকি দিয়েও যায়। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব লিজকৃত জায়গা উচ্ছেদ করা যায়। তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে তার জায়গা প্রয়োজন আমরা দিতে বাধ্য। তবে কোনো ব্যক্তি তার সার্থে আমাদের লিজকৃত জায়গা উচ্ছেদ করতে পারবে না।’
ব্যবসারী মুজমানুর রহমান সাদ্দাম, তাপস পাল, আসলম, তমজিদ ও শামিম আহমেদ বলেন, ‘রেলওয়ের প্রয়োজনে জমি নিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থে আমাদের উচ্ছেদ করা হলে মেনে নিবো না। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাথে রেলওয়ের স্থানীয় এক ঠিকাদারের সখ্যতা থাকায় বিভিন্ন সময় আমাদের উচ্ছেদের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সরকারকে সঠিক সময়ে খাজনা পরিষদ করছি। তার আগেও একবার সরকারের প্রয়োজনে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দিয়েছি। তারপর নতুন একটা যায়গায় আবার ব্যবসা চালু করে আসছি।কিন্তু রেওলয়ে কতিপয় অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়মিতভাবে আমাদের হয়রানি করে আসছে।’
ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার কবির আহমেদ জানান, ‘লিজকৃত ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের কোনো নোটিস আমাদের কাছে আসেনি।’