অপকর্মকারী নেতা-কর্মীকে একচুল ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সরকারে গেলে দুর্বৃত্তদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার সাতক্ষীরা তুফান কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ৩১ দফা বাস্তবায়নে সাতক্ষীরায় কর্মশালাত্তোর এক প্রশ্নোত্তোর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ মামলা ছিল। বিএনপি নেতা-কর্মীরা দুঃসহ জীবন-যাপন করেছেন। অনেক কষ্ট ও আপসহীনতার বিনিময়ে আজকে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা পেয়েছে। সেই আস্থা গুটিকয়েক মানুষের জন্য নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। তাই সাধারণ জনগণের পাশে থেকে তাদের মন জয় করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি। আগামীতে বিএনপি রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে সাতক্ষীরায় রেল লাইন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া অস্বচ্ছল নারীদের জন্য কার্ড প্রদান, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুবিচারসহ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীর সভাপতিত্ব কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ-বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, ডা. শহিদুল আলম, কাজী আলাউদ্দীন, রহমাতুল্লাহ পলাশ, তারিকুল হাসান প্রমুখ।
দিনব্যাপী কর্মশালার শেষ পর্বে বিকেলে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিন জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তার কাছে ৩১ দফাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এবং তিনি তার দলের ভবিষ্যতৎ পরিকল্পনার আলোকে উত্তর দেন।
যশোর প্রতিনিধি জানান, গতকাল সন্ধ্যায় যশোর শহরের ওরিয়েন হোটেল চত্বরে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, দেশের সব সংকটে বিএনপি ছিল। তাই মানুষ এখনো বিএনপির ওপর আস্থা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, একাত্তরে একদল মানুষকে যুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ভারতে চলে গেছে, আরেকদল স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বিএনপি স্বাধীনতা যুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের পাশে ছিল। যে কারণে দেশের মানুষ বারবার বিএনপির ওপর আস্থা রেখেছে। জনগণ বিশ্বাস করে আগামীতে ভালো কিছু করতে হলে বিএনপির নেতৃত্বেই হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি পজেটিভ পরিবর্তন করতে চায়। এটার জন্য জাদু বা ম্যাজিক নয়, মন-মানসিকতা পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে এজন্য প্রস্তুত হতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৬ বছর যে জুলুম -নিপীড়ন হয়েছে তার প্রতিশোধ হবে ৩১ দফার বাস্তবায়ন। যে অপশক্তি বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের প্রতিশোধ সফল হবে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জাবিউল্লাহ, প্রশিক্ষণ-বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবীবা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বক্তব্য রাখেন।