শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

এনআইডিতে ছেলের বয়স ১৩৮, বাবার ৭৫!

অনলাইন ডেস্ক / ৮৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বয়স ভুলের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার এক দরিদ্র ব্যক্তি। সরকারি নথিতে দেখা যাচ্ছে, ছেলের বয়স ১৩৮ বছর, আর তার বাবার বয়স মাত্র ৭৫ বছর। এই অস্বাভাবিক তথ্য বিভ্রাট শুধু হাস্যকরই নয়, বাস্তব জীবনে একাধিক মৌলিক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জিতু মিয়া নামের ওই ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী জিতু মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তার জন্মতারিখ ১৮৮৭ সালের ২ মার্চ। অথচ তার বাবা হারিছ মিয়ার জন্মতারিখ এনআইডিতে ১৯৫০ সালের ১ মার্চ। এতে দেখা যাচ্ছে, জিতু মিয়া তার বাবার চেয়ে ৬৩ বছর বড়— যা বাস্তবে অসম্ভব ও তথ্যগতভাবে সুস্পষ্ট ভুল।

দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা জিতু মিয়া সম্প্রতি দেশে ফেরার পর ১২ বছর বয়সী ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তি করাতে গিয়ে এই সমস্যা সামনে আনেন। একই ভুল তথ্যের কারণে তার কন্যা সন্তানকেও স্কুলে ভর্তি করানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমি নিরক্ষর মানুষ, এনআইডিতে এত বড় ভুল হয়েছে বুঝতেই পারিনি। এখন প্রতিটি অফিসে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত, টাকা খরচ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।’

জিতু মিয়া বিষয়টি সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালতে একটি এফিডেভিট করেছেন এবং নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।

নবীগঞ্জ ইউএনও মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স সংশোধনের জন্য নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্ট প্রয়োজন। তিনি শিক্ষিত না হওয়ায় কোনো শিক্ষাগত সনদ দিতে পারেননি। তাই তাকে সিভিল সার্জনের কাছ থেকে বয়স-সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, ২০০৭ সালে ভোটার তালিকার প্রথম ডিজিটালাইজেশনের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ভুল বয়স অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বয়স সংশোধনের জন্য জন্মনিবন্ধন সনদের সঙ্গে মিল থাকা বাধ্যতামূলক। জিতু মিয়ার জন্মনিবন্ধন সনদেও তথ্যগত সমস্যা রয়েছে, সেটিও সংশোধন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এনআইডি সংশোধনের চেষ্টা করব।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর