সিলেট থেকে চট্রগ্রাম মুখী আন্তনগর পাহাড়ি এক্সপ্রেস (৭২০)এর ইঞ্জিনের পিছনের বগির ক্লিপ ভেঙে ৫টি বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বগি রেখে ইঞ্জিনটি প্রায় ২০০গজ দূরে চলে যায়। তবে কোনো হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের সময় কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ৩০মিনিট বিলম্ব হওয়ার পর শ্রীমঙ্গল থেকে চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্রগ্রামের উদ্যোশ্যে রওয়ানা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার কবির আহমেদ।
এ ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ট্রেনটি প্রায় ৩০মিটিন আটকে থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করেন। তবে এ রোডে অন্যান্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার কবির আহমেদ বলেন, চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) এর ইঞ্জিনের পিছনের বগির ক্লিপ ভেঙে যায়। এতে বগি রেখে ইঞ্জিনটি প্রায় ২০০গজ দূরে চলে যায়। ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৫টি বগি। বিষয়টি ট্রেনের গার্ড চালককে সাথে সাথে জানানোর পর তিনি সাথে সাথে ট্রেন বেক করে নিয়ে আসে। সবকিছু মিলিয়ে এখানে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
তিনি আরও বলেন, ৩০ মিনিট বিলম্ব হওয়ার পর শ্রীমঙ্গল থেকে চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) ট্রেনটি চট্রগ্রামের উদ্যোশ্যে রওয়ানা দেয়। এতে করে যাত্রী সেবা ৩০ মিনিট বিঘ্ন হয়।