সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
কুলাউড়ায় ট্রাক বোঝাই আগর কাঠ আটক, বন আইনে মামলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকদের জমজমাট ব্যবসা শ্রীমঙ্গলে শিশুদের শেখার সুযোগ ও নারীদের জীবিকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা কর্মধা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল আহমদ শ্রীমঙ্গলে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই জন আটক কমলগঞ্জে শাহজালাল মর্ণিং সান স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ আগুনে পুড়ে সাংবাদিক কন্যার মৃত্যু আগামির বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান লাউয়াছড়া থেকে একরাতে ৩টি মূল্যবান সেগুন গাছ চুরি, চুরি হওয়া গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ উদ্ধার

বাসা বেঁধেছে ‘ঘুঘু’ পাখি

সালাহউদ্দিন শুভ / ১১১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

ঘুঘু,অতি পরিচিত সবার এই পাখির নাম। এই পাখি গ্রামাঞ্চলেই বেশি দেখা যায়। লোকালয়ের কাছে বাস করলেও এরা আড়ালে থাকে। তবে গনমাধ্যম কর্মীদের চোখ তো আর আড়াল দেওয়া যায়না। তাদের নজরে ঠিক পড়ে। রবিবার (১৭নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের খোলা জানালার এক পাশে বাসা বাঁধে। এক জোড়া ঘুঘু বসবাস শুরু করেছে, ডিমও দিয়েছে বংশ বৃদ্ধির জন্য।

সড়জমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসেরে একটি জানালার খুলা। সেই খুলা জ্বানালায় বাসা বাধে ঘুঘু পাখি। একটি পাখিকে বাসায় দেখা মিলে এবং অন্য আরও একটি পাখিকে কৃষ্ণচুড়া গাছে বসে থাকতে দেখা যায়।

বাসা বাঁধার মৌসুম ছাড়া সাধারণত ঝাঁকে থাকতে পছন্দ করে ঘুঘু পাখি। ঝপঝোড়, গাছের ডাল-হোক, উচু বা নিচুতে, পছন্দসই জায়গা পেলেই বাসা করে। নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বেঁছে নিয়েছে পাখি যুগল।

ওই অফিসের অফিস সহকারী বলেন, ‘অফিসের স্যারের কক্ষের সামনে ছোট্ট গাছে এক জোড়া ঘুঘু পাখি বাসা বেঁধেছে। পরে দুইটি ডিম দিয়েছে। খুব কাছে থেকে সেই ঘুঘুর বাসা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। ঘুঘুর বাসাটির খেয়াল রাখছি। শিকারী বা শিশু-কিশোররা যেন ক্ষতি করতে না পারে।’

পরিবেশবাদী ও স্থানীয় শিক্ষক মনজুর আহমেদ আজাদ মান্না জানান, ‘শীত শুরুতেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নাম না জানা হাজারো রঙ-বেরঙের অতিথি পাখির কলকাকলীতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে কমলগঞ্জের পাহার টিলা, হাওর-বাওর, খাল-বিল, নদী, লেক, পুকুর, জলাশয় ও জলাবনগুলো। কিন্তু একশ্রেণির লোভী মানুষ এলাকার বিভিন্ন খাল-বিলে নানাভাবে পাখি শিকার করে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে। এদের থাবা থেকে আমাদের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার জন্য পাখি বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অতিথি পাখি শিকার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন আজ বেশি প্রয়োজন। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা প্রয়োগ করছে না।’

এ প্রসঙ্গে কমলগঞ্জ জীব বৈচিত্র কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশবাদী আহাদ মিয়া বলেন, ‘দুই বছর আগেও ঘুঘু পাখি চোখে পড়তো না। বর্তমানে তিলা ঘুঘু অনেক বেড়েছে। তিলা ঘুঘুর পালকের রঙ বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোঁট বাদামি। পাখির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে অন্যান্য প্রজাতির ঘুঘু পাখির দেখা মিলবে আমাদের অঞ্চলে।

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর এলাকা শিখারিরা প্রায় সময় ফাদ পেতে এই পাখি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে থাকে। বনপ্রাণী বিভাগ প্রায় সময় অভিযান করে। তবে সচেতনতার প্রয়োজন। শীত এলেই এক শ্রেণির অসাধু মানুষ হত্যা করছে এই পরিযায়ী পাখিগুলোকে।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর