নিজের দেহ, মন সুস্থ্য রাখার জন্য দৌড়। শমশেরনগর আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে ছিল আনন্দ উচ্ছাস। এমন উচ্ছাস নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগান মাঠ থেকে সাড়ে ৪ শত দৌড়বিদ দৌড় শুরু করেন কুয়াশাচ্ছ ভোর ৬ টায়। টিম শমশেরনগরের আয়োজনে শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোর ৬ টায় ৫০ কিলোমিটারের অংশগ্রহণকারী ১৬৫ জনের দৌড় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। ভোর ৬টা ১০ মিনিটে ২১ কিলোমিটার দূরত্বের দৌড়ে নারী পুরুষ মিলিয়ে অংশ নেন ২৮৫ জন।
শমশেরনগর সবুজে ঘেরা শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠ থেকে বের হয়ে দৌড়বিদরা চা শ্রমিক বস্তি, চা বাগান প্লান্টেশন এলাকার উচু নিচু পাকা সড়ক ও রাবার বাগান ঘেষা সড়ক দিয়ে শমশেরনগর থেকে ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী চাতলাপুর চেকপোস্ট ঘুরে আবার শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠে আসেন ২১ কিলোমিটার এর দৌড়বিদরা। আর শমশেরনগর থেকে একই পথে দুইবার করে চাতলাপুর চেকপোস্ট ঘুরে শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠে ফিরে আসেন দৌড়বিদরা।
দৌড়বিদদের সাথে যাবার সময় অসংখ্য স্থানে দেখা যায় দৌড়বিদদের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয়, কলা, খেজুর সরবরাহ বুথ রয়েছে। সাথে রয়েছে মেডিক্যাল টিম। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে চা বাগান ও গ্রামের মানুষজন বিশেষ করে শিশুরা দাঁড়িয়ে দৌড়বিদদের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
আগের দিন বিকাল থেকে দেশের নিবন্ধনকৃত দৌড়বিদরা শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠে জড় হন। অনেকেই মাঠে নিজস্ব তাবু স্থাপন করেন। আর অধিকাংশ দৌড়বিদরা বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে থাকেন। আবার অনেকেই পরিচিতজনদের বাসায় অবস্থান করেন।
২৫ কিলোমিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন আশরাফুল আলম ও দ্বিতীয় হয়েছেন সামাউন হোসেন। ২৫ কিলোমিটার দৌড়ে মেয়েদের গ্রুপে প্রথম হয়েছেন ব্রাহ্মণবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান ও দ্বিতীয় হয়েছেন বগুড়ার রুহি তাবাসসুম। ৫০ কিলোমিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছেন ময়নুল আহমদ দ্বিতীয় হয়েছেন প্রভাত চৌধুরী ও তৃতীয় হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজ শিক্ষক রাজন মিয়া।
দৌড়ে অংশ নেন সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা।
একে একে সকল দৌড়বিদরা শমশেরনগর চা বাগান মাঠে ফিরে আসার পর বিকাল ৩ টায় বিজয়ীদের পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট তুলে দেন করবেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন।