সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে দুই যুবলীগ নেতা আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া দুজন হলেন-সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের ভাগনা ও বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান-যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান-যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদ সৌদি আরব যাওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট বিমানবন্দরে আসেন। পরে বিকাল ৫টার দিকে ইমিগ্রেশন ডেস্কে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ তাঁদের আটক করে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় মামলা রয়েছে। গত ২৩ আগস্ট বড়লেখা পৌর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদার বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। ওই মামলায় সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে প্রধান আসামি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যান-যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলকে ৬ নম্বর এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জালাল আহমদকে ৩১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণহত্যা দিবস ও কালো পতাকা মিছিল চলাকালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বড়লেখা পৌরশহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেন। হুমকি উপেক্ষা করে তারা রেলওয়ে যুবসংঘ মাঠের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে কালো পতাকা মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। ওই সময় পৌর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদারকে কুপিয়ে গুরতর আহত করা হয়।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত দশটায় বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ দুই যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে। পরে তাদের দুজনকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় মামলা রয়েছে। তাদের বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, বড়লেখা সদর ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় মামলা রয়েছে।