মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মুন্সিবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নের বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে শ্রীমঙ্গলের বিবেকী তারুণ্য সংগঠন। শনিবার (২৪ আগষ্ট) এই সংগঠনের ২৫ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম দিনব্যাপী বানভাসীদের মাঝে শুকনো খাবার যেমন, চিড়া, মুড়ি, গুড়, খেজুর, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, গ্যাস লাইটার, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ বিভিন্ন জরুরি ঔষধ বিতরণ করেছে। দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মোট ৬০০টি পরিবারে এই ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
টানা বৃষ্টিতে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলাসহ মৌলভীবাজারের কিছু উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ প্রথম ধাপে কমলগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করেছে বিবেকী তারুণ্য নামক সংগঠনটি। সংগঠনের এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় শুকনো ত্রান-সাহায্য, রান্না করা খাবার বিতরণ, ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পিংসহ পরিস্থিতি অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি কাজ হাতে নিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
সংগঠনের একজন স্বেচ্ছাসেবক ইশীকা বলেন, দ্রুততম সময়ে আমরা যার যার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে শ্রীমঙ্গলের সাধারণ মানুষকে যুক্ত করে আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে জানান দিয়েছি। সেখানে যুক্ত হওয়া অনেকেই আমাদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। যার প্রেক্ষিতে মাত্র এক দিনেই আমরা ছয়শত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করতে পেরেছি। আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণের জন্য এবং সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বেচ্ছাসেবক মাহি বলেন, বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সবাই আনন্দিত। গতকাল বিকাল থেকে শুরু করে রাত ৪টা পর্যন্ত আমরা শুকনো খাবার প্যাকেজিং এর কাজ করেছি। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও ঘরহারা কিছু পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করারও ইচ্ছে আছে।
আজকের ত্রাণ-সাহায্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন প্রীতম, খোকন, পাপ্পু, পিয়াস, দূর্বা, ইপ্তী, নাদিয়া, শাহানা, দীপ, মনসুর, রিহান, সিহাব, তারেক, ইমন, কাব্য, কয়েস, সামিসহ আরও অনেকেই।