বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী নদী বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার ৪টি নদ নদীতে চতুর্থ বারের মত ফের বেড়েছে পানি। জেলার কুশিয়ারা, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদে শনিবার আবারও পানি বেড়েছে। শনিবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাগরের লঘু চাপের প্রভাব ও ভারতের ঢলে শরৎ মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মৌলবীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার জুড়ী নদে বিপদসীমার ৮৫ সেমি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছড়াও মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৮ দশমিক ১৪ সে: মি: নীচ,ধলাই নদে পানি বেড়ে বিপদসীমার ১৬.৭৫ সে: মি: নীচ দিয়ে ও মনূ নদে বিপদসীমার ১০.১১ সে:মি: নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কুশিয়ারা নদী পাড়ে গেলে দেখা যায়, দীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ লাগাতার বন্যায় বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
নদী পাড়ের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের তাহিদ আলী বলেন,‘ আমার ঘরের টিন ও বেড়া ধসে পড়েছে। পানি বাহিত রোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ ঘর মেরামত করতে এখনো কেউ এগিয়ে আসেননি।’
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্ক হবার কিছুই নেই। বৃষ্টি থেমে গেলে পানি কমে আসবে।