বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কমলগঞ্জে বিএনপির বিজয় মিছিল আজ সিলেটসহ সারা দেশে গ্রে প্তা র দেড় হাজার : চলছে বিশেষ অভিযান একমাসে সিলেটের সড়কে প্রাণ গেলো ২৬ জনের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল বিএনপির বিজয় মিছিল তালামীযে ইসলামিয়া নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে ছাত্রসমাজকে বিরত রাখতে কাজ করছে–এস এম মনোয়ার হোসেন বাবা ও মেয়ের গলায় দা ধরে ছিনতাই- গ্রেফতার দুই মৌলভীবাজারে হবিগঞ্জী বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, সড়ক অবরোধ-বাস ভাঙচুর  কমলগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে পূজা উদযাপন পরিষদের বৃক্ষরোপন আমিরের সুচিকিৎসা নিয়ে জামায়াতকে খোলা চিঠি

রাতের আঁধারে ভারী যানবাহনে বালু পরিবহন; মানা হচ্ছে না সওজের আপত্তি

সালাহউদ্দিন শুভ / ৭১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মনু নদীর সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন ও ভারী যানবাহনে পরিবহন হচ্ছে। বালু উত্তোলনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আপত্তি উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ভারী যানবাহনে বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে মনু সেতু ও বাঁধ এবং চাতলা-শমশেরনগর ও শ্রীমঙ্গল সড়ক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের মনু নদীর পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন ও অধিক ভারী যানবহনে পরিবহন হচ্ছে। এতে নদীর বাঁধ, সেতু ও সড়ক হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয়রাও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জেলা সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলীও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিটি দিয়েছেন। তারপরও রোধ হচ্ছে অধিক ভারী যানবাহনে বালু পরিবহন।

সওজের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে সড়ক বিভাগ (সওজ) মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ স্বাক্ষরিত একটি সচিত্রপত্রে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে ভারী যানবাহনে বালু পরিবহন বন্ধের অনুরোধ করেন। পত্রে বলা হয়, ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ (সিলেট জোন)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলা চেকপোস্ট এবং কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কের উন্নয়ন কাজ সদ্য শেষ হয়েছে। সড়কদ্বয়ের বালু মহালদারদের বালু বহনকারী ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী গাড়ি নিয়মিত চলাচলের কারণে সড়কদ্বয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ৪০-৫০ টন বালু বহনকারী ভারী ট্রাক নিয়মিত চলাচলের কারণে সড়কের ফাউন্ডেশন সহ সড়ক পেভমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সড়কদ্বয়ের দেবে যাওয়া, পেভমেন্টের স্থায়ীত্বতা রক্ষা ও যান চলাচলের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিমিত্তে ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

জামাল আহমেদ, তাজুল ইসলাম, আশরাফুল হোসেনসহ শরীফপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বালু উত্তোলনের নীতিমালায় সেতু এলাকার এক কি.মি. দূর থেকে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও মনু নদীর শরীফপুর সেতুর পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন হচ্ছে। এতে মনু সেতু ও নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় পরিবেশ, প্রতিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া অধিক ভারী ট্রাকে বালু বহনের কারণে সড়কও ধ্বসে পড়ছে। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী সম্প্রতি প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করেছেন। তারপরও বালু উত্তোলন ও ভারী যানবাহনে পরিবহন বন্ধ হচ্ছে না।

এব্যাপারে বালু মহালের ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘লিজ নিয়ে আমরা বালু উত্তোলন করছি। আমাদের সবকিছু বৈধ আছে। বিজিবি ও প্রশাসন আমাদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছেন। তবে কে বা কারা বাঁধা দিচ্ছে। রাস্তায় চলাচলের সুবিধার্থে আমরা ব্যবসা করছি। আমাদের কাছে অধিক ভারী যানবাহন বলে মনে হচ্ছে না।’

এ ব্যপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবো।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর