মৌলভীবাজারে প্রথম দফা বন্যার পানি কমার আগেই সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়ে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে আবারও বন্যার কবলে পড়েছেন জেলার প্রায় ৩লাখ মানুষ। অনেকেই আবারও আশ্রয়কেন্দ্র ছুটছেন।
দ্বিতীয় দফায় গত কয়েকদিনর অব্যাহত টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। জেলার মনু, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় জেলায় ৬০ হাজর ৯২৪ টি পরিবারের ৩ লাখ ৩ হাজার ৩২৭ জন পানিবন্দি আছেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭০৮ জন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র উঠেছেন। জেলায় ১০৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে।
সরেজমিনে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় প্রথম দফা বন্যার পানি কমার আগেই আবার দ্বিতীয় দফায় বন্যা হয়েছে। এতে করে এসব উপজেলার পানিবন্দি মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে। এছাড়া কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জেলার বেশিরভাগ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর আছে। ধলাই নদীর ভাঙ্গন গুলো ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা আছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, প্রথম দফা বন্যার পানি নামার আগেই আবার দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অভ্যাহত আছে।