মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ঘাতক চাচা মাসুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৪ জুন) বিকেলে ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজেন কমলগঞ্জ থানা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো, মাহফুজুল কবীর, এসআই আমির, এএসআই হামিদ সহ কমলগঞ্জ থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে জায়গা জমির সংক্রান্তে জের ধরে গ্রেফতারকৃত আসামী মাসুক আলী তার বড় ভাই আবু মিয়ার স্ত্রী হাজেরা বেগম ভাতিজী শামীমা সুলতানা শাম্মী ও মাছুমা আক্তারকে দা দিয়ে মাথাসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনসাধারণ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ২ বোন শামীমা সুলতানা শাম্মী ও মাছুমা আক্তারকে মৃত ঘোষনা করেন। তাদের মা হাজেরা বেগমকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হইতে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতাল, পরবর্তীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার সংঘটিত হত্যার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের নির্দেশনা ও তত্ত্ববধানে অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অপারেশন অফিসার এর নেতৃত্বে ঘটনার পর থেকে মূল আসামীকে গ্রেফতারের জন্য একাধিক দল গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার সারারাত ব্যাপি ও বুধবার দিনের বেলা অভিযান পরিচালনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগ এলাকা হতে আত্মগোপনে থাকা জোড়া খুন মামলার মূল আসামী মাসুক আলীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা সংক্রান্তে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।