মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
তালামীযে ইসলামিয়া নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে ছাত্রসমাজকে বিরত রাখতে কাজ করছে–এস এম মনোয়ার হোসেন বাবা ও মেয়ের গলায় দা ধরে ছিনতাই- গ্রেফতার দুই মৌলভীবাজারে হবিগঞ্জী বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, সড়ক অবরোধ-বাস ভাঙচুর  কমলগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে পূজা উদযাপন পরিষদের বৃক্ষরোপন আমিরের সুচিকিৎসা নিয়ে জামায়াতকে খোলা চিঠি আমরা জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে বেরিয়ে ক্ষমতার জন্য লড়ছি: মির্জা ফখরুল কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে: আইন উপদেষ্টা শ্রীমঙ্গলে কাভার্ডভ্যানের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১ জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, জরুরি বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

টুং টাং শব্দে মুখর কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের কামারপল্লী

সালাহউদ্দিন শুভ / ১০৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪

পবিত্র ঈদ-উল-আজহার আর মাত্র দুই দিন। দিন-রাত এক করে কাজে ব্যস্ত কামাররা। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র পশু জবাই, ব্যবচ্ছেদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। সরঞ্জাম গুলোর মধ্যে রয়েছে দা, ছুরি, চাকু, টাকশাল, কুড়াল ইত্যাদি।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার ভানুগাছ, আদমপুর ও শমশেরনগর বাজার ও শ্রীমঙ্গল বাজারে গেলে দেখা যায়, হাপরের মাধ্যমে কয়লার আগুনে বাতাস দিয়ে লোহার খণ্ডকে দগদগে লাল করা হচ্ছে। সেই আগুনে লাল হওয়া লোহার খণ্ডকে শরীরের সবটুকু শক্তি একত্র করে হাতুড়ি দিয়ে একের পর এক আঘাত করছেন কামাররা। সবারই হাত, পা, মুখ কালিতে ভরা। অসহনীয় উত্তাপে তাঁদের শরীরে দরদর করে বইছে ঘাম। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, সামনে কোরবানির ঈদ। আর এই ঈদের জন্য পশু জবাই করা, চামড়া ছাড়ানো, মাংস ও হাড় কাটার জন্য নানা ধরনের লৌহজাত সামগ্রী তাঁরা তৈরি করছেন।

শ্রীমঙ্গল কামার পল্লীর শ্যামল দেব,অপূর্ব দেব, সুধাংশু কর্মকার জানান, বাপ-দাদার ঐতিহ্য এ কামার শিল্প। বিগত দিন এ পেশা খুবই লাভজনক ছিল। এই ধরনের সরঞ্জামের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় এ কাজ ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই। তাই দক্ষ কারিগরের অভাব দেখা দিয়েছে। মজুরের মূল্য অনেক বেশি। এছাড়া কামার শিল্পের কাঁচামাল যেমন- কাঠকয়লা, লোহা, ইস্পাত ইত্যাদির দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাই মানুষ বিকল্প চিন্তা করে অটো মেশিনের তৈরি জিনিস ও বিদেশ থেকে চায়না মাল আমদানি হওয়ায় তাদের ব্যবসায় অনেকটা ভাটা পড়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার ভানগাছ বাজারের রসু কর্মকার জানান, কামাররা পূর্বে কৃষি যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় লোহার হাতিয়ার তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্বে বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত সূত্রে এ পেশায় সবাই নিয়োজিত থাকলেও কালের পরিক্রমায় বর্তমানে এ পেশা থেকে অনেকে মুখ ফিরিয়ে চাকরি অথবা অন্যান্য ব্যবসায় দিকে ঝুঁকছে। এখন হাতে গোনা কিছু লোক এ ব্যবসায় জড়িত।

তিনি জানান, বছর ঘুরে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে আমরা এর অপেক্ষায় থাকি, খুশি হই। কারণ এ সময় যন্ত্রপাতির চাহিদা বেশি থাকে। আমরাও ব্যস্ত থাকি। নতুন দা তৈরি করতে ১হাজার ৫শত,চাকু ভালো মানের ১হাজার,চা-পতি ভালো মানের ১হাজার ৫শত টাকা করে নেই।এছাড়াও পুরাতন দা,চা-পাতি ও চাকুগুলো সান দিতে ২-৩ শত টাকা নেই।
 
এছাড়াও শান ওয়ালা মেশিন কাঁধে কুরবানির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি শান দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে কাজ করছেন।


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর