কোন ইউনিয়নে নতুন শিশুর জন্ম হলে বা কেউ মৃত্যু হলে অবশ্যই তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার। এই ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, উদ্যোক্তা ও গ্রাম পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তবে অনেকক্ষেত্রে অসচেতনতার কারনে জনগণ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর কাজটা করেন না।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুন) উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে মতবিনিময় সভায় মো. আব্দুল হান্নান গ্রাম পুলিশ আল আমিন এর হাতে মুল্যায়ন স্মারক তুলে দেন।
সেই ক্ষেত্রে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৫ নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান একটি ব্যতিক্রমী ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর ইউনিয়নে সমস্ত গ্রাম পুলিশ সর্বোচ্চ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করবেন তাঁকে মুল্যায়ন স্মারক প্রদান করবেন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে।
তারই ধারাবাহিকতায় ৫ নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আল আমিন তাঁর ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে মুল্যায়ন স্মারক প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ১ মোঃ সোলেমান হোসেন প্যানেল চেয়ারম্যান ২ আব্দুল মতিন, ইউপি সচিব সোলেমান হাসান ও উদ্যোক্তা রাজু দত্ত।
গ্রাম পুলিশ আল আমিন জানান, এই ধরনের পুরস্কার প্রাপ্তি আমাকে আরোও উৎসাহিত করবে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান জানান, গ্রাম পুলিশ আল আমিন তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে জন্মগ্রহনকারী ও মৃত্যুবরণকারী পরিবারগুলোর সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে তথ্য এনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করিয়েছেন। এটা সকলের জন্য উদাহরণ হতে পারে।