বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক ২

অনলাইন ডেস্ক / ২৯৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

নোয়াখালীর মাইজদীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের আগে মারামারিতে বর ও কনে পক্ষের অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন।

গত শুক্রবার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।

তবে পুলিশের দাবি, তাদেরকে আটক নয়, উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

অভিযুক্ত বরের নাম ইকবাল হোসেন (৩৬)। অপরদিকে, কনে অনার্স পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। কনের বাড়ি জেলার কবিরহাটে। মামারা এই বিয়ের আয়োজন করে। বর একজন ড্রাগ অফিসে ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাতে।

কনের মামা মো. হিরণ অভিযোগ করে বলেন, ‘গত শুক্রবার (৯ মে) আমার ভাগ্নির বিয়ের এনগেজমেন্ট হয় পার্শ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বরপক্ষ কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পরের দিন শুক্রবার ১১ লক্ষ ১ টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিয়ের দিন বেলা ১২টার দিকে বর ফোন করে জানান তিনি আসবেন না। কনে পক্ষ না আসার কারণ জানতে চায়। ওই সময় বর ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরপর বিয়ের দিন ছেলে বর সেজে না এসে সাধারণ পোশাকে রেস্টুরেন্টে এসে একটি কক্ষে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বর বলে তাড়াতাড়ি আমার লোকজনকে খাবার দিয়ে দেন, না হলে সমস্যা হবে।’

জানা যায়, কনেপক্ষ ৩০০ জন মানুষের জন্য মেহরান ডাইনে খাবারের আয়োজন করে। বরপক্ষের লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া যায়। বর এসে কনের মামাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর প্যান্ডেল থেকে উঠে এসে অন্য একটি রুমে চলে যায়। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বরপক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে কনেপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে বরসহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বরের ভাই সোহরাব হোসেন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। তিনি পালিয়ে যাননি এবং ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেননি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে।’

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।’


আরো সংবাদ পড়ুন...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর