মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগরে অবস্থিত রাবার বাগানটি পর্যটকদের কাছে এক নতুন স্বস্তির ঠিকানা হয়ে উঠছে। শহরের কোলাহল ও ব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ছুটে আসছেন এই নির্জন, শান্তিপূর্ণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা স্থানে।
উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের লাংলিয়া ও যোগীবিল গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এ রাবার বাগানটি মূলত আলীনগর ডানকান চা বাগানের অংশ। শমশেরনগর থেকে সুনছড়া সড়ক ধরে চলতে চলতে রাস্তার দু’পাশে সারি সারি রাবার গাছের অপরূপ দৃশ্য চোখে পড়ে। সূর্যের আলো যখন পাতার ফাঁক দিয়ে মাটিতে পড়ে, তখন পুরো এলাকাটি যেন হয়ে ওঠে এক জীবন্ত চিত্রকর্ম।
স্থানীয়রা জানান, রাবার বাগানের মূল আকর্ষণ হলো এর শীতল পরিবেশ, নিবিড় ছায়া ও পাখির কিচিরমিচির ধ্বনি। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ভিড় করেন এখানে। বাতাসে থাকে একধরনের প্রশান্তি, যা হৃদয়কে করে তোলে প্রশমিত।
স্থানীয় ও দূরদূরান্তের পর্যটকদের পদচারণায় বর্তমানে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে এলাকাটি। অবকাশকালীন সময় বা ছুটির দিনে এই বাগানে বেড়াতে আসা মানুষের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। প্রকৃতি প্রেমিক, আলোকচিত্রশিল্পী ও অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের কাছে এটি এক আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, “আলীনগর রাবার বাগান প্রকৃতির এক অপরূপ নিদর্শন, যা আমাদের মুগ্ধ করে এবং প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার অনুভূতি এনে দেয়। যদি এই স্থানের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়, তবে এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যাংকার মো.জাকির হোসেন বলেন , ‘আলীনগর রাবার বাগান শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, পর্যটনের সম্ভাবনার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার পরিবেশকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে কটেজ, গাইড সার্ভিস কিংবা ক্ষুদ্র পর্যটনকেন্দ্র, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।’