এমপি আনার হত্যার তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দল। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি এই তদন্তকে ‘হাইপ্রোফাইল’ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) বা ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সব মামলার তদন্ত করতেই সাধারণত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা এসআইটি গঠন করা হয়। এটিকে ‘সিট’ বলেও দাবি করা হয়।
এমপি আনার হত্যা মামলা গ্রহণের ৯ দিনের মাথায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বা সিআইডির মধ্যে নতুন এই দল গঠন করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজন আইজিকে। সঙ্গে রয়েছেন আরও ১২ জন অভিজ্ঞ গোয়েন্দা।
আপাতত ১৩ জনের এই গোয়েন্দা দলই আনার হত্যা মামলার তদন্ত করবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নতুন তদন্ত দলটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত, নেপালে পালিয়ে থাকা সিয়ামের গতিবিধিও নজরবন্দি করা হয়েছে। সেখানে সিআইডি ছাড়াও কাজ করছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্কফোর্স। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সেখানে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাও একইভাবে কাজ করছে।
তবে নেপালে গ্রেপ্তার হলে সিয়ামকে কীভাবে আনা হবে, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল-তিন দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে এরই মধ্যে আলোচনা শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, এমপি আনার হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত সিয়াম মরদেহ গুম করে নেপালে আত্মগোপন করেছে। আর সিয়ামের বিষয়ে কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, ভিসা না পাওয়ায় এমপি আনারের মেয়ে ডরিন ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী এখনও কলকাতায় যেতে পারেননি। শনি ও রোববার দু-দিন বন্ধ থাকায় সোমবারের আগে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
এ ছাড়া গত ২৮ মে উদ্ধার হওয়া মাংসপিণ্ডের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সূত্রগুলো।