দেউন্দি টি কো:লি: অন্তর্ভুক্ত দেউন্দি, লালচান্দ, মিরতিংগা ও নোয়াপাড়া চা বাগানের চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আবেদন পত্রটি তুলে দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, মনু দলই ভ্যালী কার্যকরী পরিষদ,বাচাশ্রই (সভাপতি) ধনা ভাউরী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় আবেদন পত্রটি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল হক।
আবেদন পত্র সুত্রে জানা যায়, দেউন্দী টি কো: লি: এর উপরোক্ত বাগানসমূহের বাগান পঞ্চায়েত, সচেতন যুবসমাজ, মায়মুরব্বীয়ান ও চা শ্রমিকগন অত্যান্ত পরিতাপের সাথে একমাত্র অভিবাবক জেনে নিম্নোক্ত দাবীসমূহ তথা চ’ শ্রমিকদের আত্মত্মকান্না হতে পরিত্রানের জন্য আপনার শরনাপন্ন হলাম।
উল্লেখ যে, চা বাগান গুলোতে বিদ্যমান সমস্যা নিষ্পতিতে ইতিপূর্বে মালিক পক্ষের সাথে উপ পরিচালক, বিভাগীয় এম দপ্তর, শ্রীমঙ্গল, ইউএনও (UNO) ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ সকল দপ্তরের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় মালিক পক্ষের দেয়া প্রতিশ্রুতি (একাধিকবার দাবী বাস্তবায়নের তারিখ ধার্য্য, প্রভৃতি) ভঙ্গ করে চা শ্রমিকদের প্রতি নানান টালবাহানা অব্যাহত রেখেছেন। যা চা শ্রমিক এবং চা বাগানকে ধংসের পথে ঠেলে দেয়ার সামিল নলে মনে মজুরী আটক থাকার ফলে চা বাগানের স্বাভাবিক শ্রম পরিস্থিতি বিরোপ প্রতিক্রিয়ায় রয়েছে, মানবন্ধন, সমাবেশসহ নানান কর্মসূচীতে শ্রমিকগন বিভ্রান্ত হচ্ছেন। যা আমাদের কাম্য নয়।
উল্লেখ্য করা হয়, ১.চলমান ৩ (তিন) সপ্তাহ যাবৎ শ্রমিকদের মজুরী, রেশন (তলব) বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অপরিশোধীত রয়েছে। মজুরী আটক রাখার ফলে চা শ্রমিক পরিবারে শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমিকগন অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছেন। ২. বাগান কর্তৃকপক্ষ বিসিএস-বিসিএসইউ সম্পাদীত চুক্তির (এরিয়ার) বকেয়া পাওনার তৃতীয় কিস্তির মোট-৪০০০/- (চার হাজার) টাকা আটক রেখেছেন। ৩. বাগান কর্তৃকপক্ষ বাৎসরিক উৎসব বোনাস ফাগুয়া / দোল পূর্ণীমার বকেয়া বোনাস ১৭০০/-(এক হাজার সাতশত) টাকা আটক রেখেছেন। ৪. চা শ্রমিকদের মজুরী হতে কর্তনকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড এর চাঁদা এবং মালিক পক্ষে অংশসহ মোট ১৮ মালের পিএফ চাঁদা পিএফ কার্যালয়ে জমাপ্রদান না করার ফলে শ্রমিকগন পিএফ শ্রমিক সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছে। ৫. মাসিক বেতনধারী সর্দার, মিস্ত্রি, ড্রেসার, ইলেক্ট্রিশিয়ানদের ২ (দুই) মাস যাবৎ বেতন আটক রেখেছেন। ৬. চা বাগানের দাতব্যচিকিৎসালয় (হাসপাতাল) এর চিকিৎসার ব্যবস্থা অত্যন্ত নায়ুক, যাথাযথ ঔষদপত্র সরাবরাহসহ শোলভ চিকিৎসা বন্ধ রেখেছেন। ৭. চা শ্রমিকদের বাসস্থান-ঘরবাড়ির দরজা-জালানা, ছাউনী ইত্যাদি তৈয়ারী ও পূর্ন মেরামত ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছেন।
আবেদনে তারা আরোও জানান, এমতাবস্থায় চা শিল্প এবং চা শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহনের জন্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুমন অলসিক, সিরাজুল ইসলাম, ডা হরিশংকর তাঁতী, সাতলাল রাং, কুদরত মিয়া, সুজন রায়, তানিশ রোহ, রাজেশ ফেরী