গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছাত্রকে শাসন করায় বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে মারধর করেছে ওই ছাত্র ও তার অভিভাবকরা। এ সময় হামলাকারীদের থামাতে গিয়ে অপর এক শিক্ষক ও ৩ কর্মচারী আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার হিজলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস হিজলবাড়ি বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, দশম শ্রেণীর ছাত্র পিতাশ হালদার স্কুল ড্রেস না পরে বিদ্যালয়ে এলে প্রধান শিক্ষক তাকে শাসন করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতাশ হালদার বিদ্যালয় ত্যাগ করে বাড়িতে চলে যায়। বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ছাত্র পিতাশ ও তার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক বিকাশ বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধর করে।
গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ শিক্ষক উত্তম অধিকারী, ল্যাব অপারেটর সুদেপ অধিকারী, কর্মচারী জয় সেন ও বুলেট দত্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ছাত্র ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
বিদ্যালয়টির বাংলা বিষয়ের শিক্ষক স্বপন রায় বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করায় এভাবে মারধরের শিকার হলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
এ বিষয়ে ছাত্র পিতাশ হালদারের পিতা পঙ্কশ হালদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। পিতাশের পিতা হিসেবে আমি সব শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ আহত অন্যদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’