মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার সাথী (২০) নামের এক অসহায় মহিলার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ী ভাংচুর করেছে দূষ্কৃতিকারীরা। ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে এ ভাংচুরের ঘটনা উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে ঘটে । এ ঘটনায় রবিবার সকালে ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত বিবাদী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ফাহমিদা আক্তার সাথী।
অভিযুক্ত বিবাদী হলেন- মফিজ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া, রুসন আলীর ছেলে হাফিজ মিয়া ও মৃত ইয়াকুব উল্ল্যার ছেলে ইসাক মিয়া।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পুর্বশত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন রাতে বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে ফাহমিদা আক্তার সাথী বসতবাড়ীতে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন অযুহাতে ভু-সম্পত্তি দখলের উদ্যোশ্যে বাড়িতে হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন বিবাদীরা গালিগালাজ করলে প্রতিবাদ করায় বিবাদীগণ উত্তেজিত হয়ে টিনসেড টিনের বেড়া ও ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও বিভিন্ন সবজী গাছ কেটে ফেলে। পরে রাতে হাল্লা-চিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়।
ফাহমিদা আক্তার সাথী জানান, আমার স্বামী বিদেশ থাকেন। তাদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারি না। প্রাণের ভয়ে আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানালে তাহারা আমাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমি এ ঘটনায় সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় প্রতিবেশী তছকির মিয়া ও ইসরাব মিয়া বলেন, আসামীরা খুব খারাপ লোক। তারা বিভিন্ন সময় জায়গা দখল করতে চায়। হামলাকারীদের ভয়ে বাড়িতে না থেকে বাপের বাড়িতে থাকতে হয়। আমরা তাদের শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত আসামীদের মোটোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মুমিন জানান, আমাকে অভিযোগকারী ফাহমিদা আক্তার সাথী ফোনে করে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাদের বলে দিয়েছি থানায় অভিযোগ করার জন্য।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, ঘর ভাংচুরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।