নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রবি আলম নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।
মৃত রবি আলম (৪) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের ৬নং কক্ষের বাসিন্দা ছিল।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একইদিন সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা (৩) নামে আরো এক শিশু মারা যায়। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, এ নিয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে- জোবায়দা (২২), রশমিদা (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)।
জানা যায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নয়জনের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল (৪) নামে এক শিশু শনিবার সন্ধ্যার মারা যায়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মোবাশ্বেরা এবং একইদিন সন্ধ্যার দিকে রবি আলম নামে আরো এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকি চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে রোসমিনার ৫০ শতাংশ, রবি আলমের ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ, সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। এজন্য তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। আহতদের প্রথমে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠান।