ইংল্যান্ডে বসবাসরত স্ত্রী কয়েক ঘণ্টা ধরে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাচ্ছিলেন না। পরে জানতে পারলেন, গ্রিসের গ্লাইফাদা শহরের নিজবাড়ির সুইমিংপুলে মিলেছে তার মৃতদেহ! মৃত এই ব্যক্তি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার জর্জ বালডক। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে তার রহস্যজনক মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৩১ বছর বয়সি বালডকের জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও দাদির দেশ গ্রিসের হয়ে জাতীয় দলে খেলেছেন। ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে ৭ বছর কাটিয়ে এ মৌসুমেই গ্রিক ক্লাব পানাথিনাইকোসে নাম লিখিয়েছেন। গত রোববার অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে খেলাটাই হয়ে থাকল এই ডিফেন্ডারের জীবনের শেষ ম্যাচ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুইমিংপুল থেকে বালডককে উদ্ধারের পর হৃৎস্পন্দন ফেরাতে সিপিআর দেওয়া হয়। কিন্তু তার জ্ঞান ফেরেনি।
স্থানীয় সময় গতকাল রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়) চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে বালডকের পরিবার জানিয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, জর্জ বালডক আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।’
পানাথিনাইকোস বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা হতবাক, আমাদের জর্জকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। পানাথিনাইকোস-পরিবার তার অকাল মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছে। আমরা জর্জের পরিবার ও প্রিয়জনদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।’
বালডকের সাবেক ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে, ‘ব্রামল লেনে ৭ বছর কাটানোর পর এই ডিফেন্ডার এবারের গ্রীষ্মে ক্লাব ছেড়েছে। সমর্থক, কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। শেফিল্ড ইউনাইটেডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই জর্জের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।’
গ্রিস ফুটবল ফেডারেশন লিখেছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে গ্রিস জাতীয় দল এবং ফুটবল ফেডারেশন জর্জ বলডককে বিদায় জানাচ্ছে। আমাদের আপন মানুষটির অপ্রত্যাশিত প্রস্থানে যে বেদনার সৃষ্টি হয়েছে, তা বর্ণনা করার ভাষা জানা নেই। আমরা মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে পড়েছি।’ গ্রিস জাতীয় দলের হয়ে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন বালডক। শেষ ম্যাচটি খেলেছেন এ বছরের মার্চে জর্জিয়ার বিপক্ষে। ক্লাব পর্যায়ে তিনি শেফিল্ড ও পানাথিনাইকোস ছাড়াও মিল্টন কেইনেস ডনস, অক্সফোর্ড ইউনাইটেড, টামওয়ার্থ এফসি, নর্দাম্পটন টাউন ও ভেস্টমান্নায়েইয়ারকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সালাহ্উদ্দিন শুভ ,মোবাইল : 01710668127 ইমেইল : protidinermoulvibazar@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রতিদিনের মৌলভীবাজার | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।