কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর মৌজায় ধলাই নদীর তিনটি স্থানে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু ও কিছু ষড়ঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলনে ধলাই পাড় এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি। গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে উত্তোলিত বালু জব্দ করেন কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডি.এম. সাদিক আল শাফিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী মহল সকল বাঁধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় ধরে ধলাইপাড় এলাকার কয়েকটি স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে বাণিজ্য করছেন। তাদের বালু উত্তোলনের কারণে মেশিনের উচ্চ শব্দ, নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পড়ে স্থানীয় বসতিদের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়ে। অতিরিক্ত বহনকারী ভারী যানবাহনের কারনে ধ্বসে পড়েছে সড়কপথ।
অতিরিক্ত বালু বহনকারী গাড়ির কারনে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়ক বিভাগ, মৌলভীবাজারের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ গত ১৯ মে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত সচিত্র পত্রে বলেন, কুলাউড়া-শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল সড়কে ২২ মে.টন লোড বহন করার অনুমোদন রয়েছে। তবে বালু বহনকারী ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী গাড়িতে বালু মহালদারদের ৪০ থেকে ৫০ টন বালু বহনকারী ভারী ট্রাক নিয়মিত চলাচলের কারনে ফাউন্ডেশনসহ সড়ক পেভমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এভাবে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন ধরণের বাঁধা উপেক্ষা করে কমলগঞ্জের ধলাইর পার থেকে দীর্ঘদিন ধরে কোনো রকমের লিজ ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনে ধ্বসে পড়ছে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরের অর্ধশতাধিক বসতঘর। মেশিনের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা। ভারী যানবাহনে বালু পরিবহনে ধ্বসে পড়ছে সড়কপথ। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ‘কমলগঞ্জে ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু রোববার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতার্সহ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিনটি স্পটে উত্তোলিত বালু ও বালু উত্তোলনের কিছু পাইপও জব্দ করা হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডি.এম. সাদিক আল শাফিন বালু জব্দের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাধবপুর মৌজায় ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু ও পাইপ জব্দ করা হয়েছে। এখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে জব্দকৃত বালু শীঘ্রই নিলাম দেয়া হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, জব্দকৃত বালু বিধিমোতাবেক দ্রুতসময়ে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সালাহ্উদ্দিন শুভ , মোবাইল : 01710668127 ইমেইল : protidinermoulvibazar@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রতিদিনের মৌলভীবাজার | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।