দেশজুড়ে বাড়ি ঘর, ধর্মীয় উপসানালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে ৮ দফা দাবীতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে আ'লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪আগস্ট) বিকালে উপজেলার চৌমুহনীতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডা.হরিপদ রায়, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুশীল শীল, সদস্য মিতালি দত্ত, আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরপদার, ভুনবীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পিনাকি রঞ্জন দেব, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার দাস, আশিদ্রোন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পুনেন্দু দেব, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য চন্দন চক্রবর্তী, নির্মল পাল, অমেরেন্দু চন্দ্র, সিন্দুর খান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক বিনয় দেব, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উত্তরসুর ওয়ার্ড নেতা স্বপন বিশ্বাস, রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা উপেন্দ্র দেবনাথ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক সরকারি কর্মকর্তা সুদিপ দাস রিংকু, উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চা বাগান ইউনিটের আওয়ামী লীগ সভাপতি/সম্পাদক ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আওয়ামীলীগ ঘেষা শিক্ষক শিক্ষিকাকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে।
সোমবার বিকালে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশে কয়েক হাজার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সনাতন সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ এতে অংশ নেয়।
এতে শহরের চৌমুহনী এলাকা ও এর আশপাশের সংযোগ সড়ক পথগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। এসময় তীব্র যানজটে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। নাশকতার আশংকায় পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ঘোষিত ৮ দফা তুলে ধরে তা বাস্তবয়নের দাবী জানানো হয়।
দাবীসমুহ হলো:
এদিকে শ্রীমঙ্গলে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের বাড়ি ঘর, মন্দিরে কোন হামলা, অগ্নি সংযোগ এর ঘটনা না ঘটলেও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে এ ধরনের হিন্দু সমাবেশ করায় সাধারন মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীরা জানান, এই উপজেলায় মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়ি ঘর, মন্দির পাহারা দিয়ে তাদের রক্ষা করেছেন, সেখানে এ ধরনের ধর্মীয় সমাবেশ উস্কানীমূলক স্লোগান দেয়ায় এখানকার ধর্মের সম্প্রীতির ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়া পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু গত ৫ আগষ্ট থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখায় ওসি বিনয় ভূষণ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব সম্প্রতি মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় তারা বলেন,অন্য জেলার চাইতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা অনেক নিরাপদ ছিল।
শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু বলেন, আমরা দিন রাত উপজেলার বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের নিরাপত্তায় ছিলাম এখনো আছি। কিন্তু আজ হঠাৎ করে এভাবে সমাবেশের আয়োজন করে উস্কানীমূলক স্লোগান দেয়ার মানে বুঝলাম না। তারা আওয়ামীলীগের ব্যানারে এভাবে স্লোগান ও দিতে থাকেন। আমি মনে করি এখানকার ধর্মের সম্প্রীতির ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সালাহ্উদ্দিন শুভ ,মোবাইল : 01710668127 ইমেইল : protidinermoulvibazar@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রতিদিনের মৌলভীবাজার | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।