মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোলের হাওর গ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের কারনে (আসল নাম রুবাইয়া) ২০ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধি যুবতী ৫ মাসের অপরিপক্ক মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে । ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলের হাওড় গ্রামে ঘটে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে অসুস্থ মেয়েকে নিজ বাড়ি থেকে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
এলাকাবাসী বলছেন, পাষন্ড পিতা ও তার সঙ্গীয় দু“জন কর্তৃক মেয়ে গর্ভবতী হয়েছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। পুলিশ বলছে, মেয়েটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব না এবং এখনো পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলের হাওড় গ্রামের হারুন মিয়া ৩টি বিয়ে করেছিলেন। ১ম স্ত্রী হারুনকে তালাক দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। হারুন ২য় বিয়ে করলে তাদের সংসারে ১ ছেলে ও ২টি মেয়ে জন্ম নেয়। ২ স্ত্রী সন্তানদেরকে দেশে রেখে প্রবাসে চলে যায়। এদিকে হারুন ৩য় বিয়ে করলে ঔ সংসারে ২টি ছেলে জন্ম নেয়। ৩য় স্ত্রীও সন্তানদেরকে দেশে রেখে প্রবাসে চলে যায়।
এদিকে হারুনের ২য় স্ত্রীর বড় মেয়ের (আসল নাম হুমাইরার) বিয়ে হয় কুমিল্লায় এবং নির্যাতিতা মেয়ের বিয়ে হয় কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের টিলাবাজার নামক স্থানে। কিছু দিন সংসার করার পর মেয়েকে তার স্বামী তালাক দিয়ে দেয়। তখন মেয়েটি স্বামীর সংসার ত্যাগ করে পিতা হারুনের বসতবাড়ীতেই বসবাস শুরু করে। হারুন প্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা (২০) কে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করছিলেন। এরই মধ্যে হারুন তার জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য নিজ কন্যার উপরেই হামলে পরে। তার এই অবৈধ শারিরীক মেলামেশায় মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। হারুন বিষয়টি বুঝতে পেয়ে গত ৪ জুন কন্যার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার জন্য স্থানীয় এক ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়। ডাক্তারের নিকট থেকে কন্যাকে নিয়ে বাড়ী ফিরে গেলে সন্ধ্যা ৭টায় মেয়েটির প্রসব ব্যাথা উঠলে স্থানীয় মহিলাদের প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধি মেয়েটি একটি অপরিপক্ক মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে করলে পুলিশ এসে হারুনের বাড়ী থেকে অপরিপক্ক কন্যা সন্তান সহ ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আফরোজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাবা কর্তৃক ধর্ষিতা মেয়েটি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেছে। তিনি আরো বলেন, শুধু হারুনই নয় তার সাথে হাসান ও হাসিম নামে আরো ২জন ভিকটিমের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করেছে।’
কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মৃত সন্তানসহ ধর্ষিতা মেয়েকে উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভিকটিমকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব না। নির্যাতিতা মেয়েটি আইনের আশ্রয় নিলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : সালাহ্উদ্দিন শুভ , মোবাইল : 01710668127 ইমেইল : protidinermoulvibazar@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রতিদিনের মৌলভীবাজার | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।