এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান। আসরের প্রথম ম্যাচেই তিনি দেখা দিলেন ভয়ঙ্কর রূপে। চালালেন ধ্বংসযজ্ঞ, খাদের মধ্যে ঢেলে দিলেন প্রতিপক্ষকে। মাত্র ৬ রানেই শিকার করলেন ৪ উইকেট। যেখানে ছিল, বিরাট কোহলি, ফাফ ডু-প্লেসিস, ক্যামেরুন গ্রিনের মতো তারকারা।
উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েই দল সাজায় চেন্নাই। সুযোগ পেয়েই নিজের জাতও চিনিয়েছেন ‘দ্য ফিজ’। প্রথম ওভারেই শিকার করেন দুই উইকেট।
আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি ধোনীর চেন্নাই সুপার কিংস আর বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালাতে শুরু করলেন ব্যাঙ্গালুরুর ফাফ ডু-প্লেসিস। চেন্নাইয়ের বোলারদের সীমানা ছাড়া করে ৪ ওভার থেকেই নিয়েছেন ৩৭ রান। দলটির নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের মুখে কিছুটা হতাশার ছাপ। স্মরণাপন্ন হলেন এবার মুস্তাফিজুর রহমানের। পঞ্চম ওভারে বল তুলে দিলেন ‘দ্য ফিজ’ এর হাতে।
স্ট্রাইকে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটর ফাফ ডু-প্লেসিস। মুস্তাফিজ নিজের প্রথম বলটাই করলেন ওয়াইড ইয়র্কার। কোনো রানের সুযোগই পেলেন না ডু-প্লেসিস। পরের বাউন্ডারি হাকালেন ডু-প্লেসিস। ওভারের তৃতীয় নম্বর বলটা তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন রাচীন রবীন্দ্রর হাতে। এখান থেকেই ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করলেন মুস্তাফিজ।
সেই ওভারেরই শেষ বলে মুস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় শিকার বানালেন রজত পাতিদারকে। রানের থাকা খোলার আগেই ক্যাচ দিয়েছেন কিপার ধোনির হাতে। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রানেই ফিজের শিকার ২ উইকেট। থামিয়ে দিলেন বেঙ্গালুরুর গতির চাকা। ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের গতি।
১১তম ওভারে আবারও মুস্তাফিজেই ভরসা রাখলেন চেন্নাই অধিনায়ক। অবশ্য এটা আইপিএলে স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে গেছে মুস্তাফিজকে নিয়ে। পাওয়ার-প্লেতে এক ওভার দিয়েই রেখে দেন ১১তম ওভারের জন্য। মুস্তাফিজ আবারও ফিরলেন বারুদ হয়ে; শিকার ২ উইকেট। সেখানে দুই বড় নাম, বিরাট কোহলি আর ক্যামেরুন গ্রিন।
১১তম ওভারের প্রথম বলে এক রান নিয়ে গ্রিন স্ট্রাইক দিলেন কোহলিকে। পরের বলেই মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি ছারা করতে গিয়ে কোহলি ক্যাচ দিলেন রাচিন রান্দ্রির হাতে। ওভারের চতুর্থ বলে ফিজের চতুর্থ শিকার ক্যামেরুন গ্রিন।
নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েই মুস্তাফিজ শিকার করেন ৪ উইকেট। ফিজের আগুন ঝড়ানো বোলিংয়েই দিশেহারা হয়ে পড়ে বেঙ্গালুরু। ১২ ওভারে ৭৯ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। যার ৪ উইকেটই গেছে মুস্তাফিজের ঝুলিতে।
মুস্তাফিজ পূরণ করে ফেরতে পারতেন ‘ফাইভ-ফার’ও কিন্তু নিজের চতুর্থ ওভারে ফিল্ডিংগুলো খুব একটা ভালো হলো না। ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। কিন্তু শর্ট মিডে ফিল্ডার থাকায় সেটা আর তালু বন্দি যায়নি। চতুর্থ বলে বলের গতি মিস করে ক্যাচ তালু বন্দি করতে পারেনি অনুজ রাওয়াত। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট ঝুলিতে ভরেন মুস্তাফিজ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সালাহ্উদ্দিন শুভ , মোবাইল : 01710668127 ইমেইল : protidinermoulvibazar@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রতিদিনের মৌলভীবাজার | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।