কিলিয়ান এমবাপ্পে যে পিএসজি ছাড়ছেন সেটা একরকম নিশ্চিতই। এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ফ্রান্সের এই বিশ্বকাপজয়ী তারকার পরবর্তী ঠিকানা যে রিয়াল মাদ্রিদ হচ্ছে সেটাই এখন অনেকটাই নিশ্চিত। সেটাও ৩০ জুনের পর থেকেই। এরই মধ্যে এমবাপ্পের সঙ্গে রিয়ালে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার খবরও নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। তবে এখন বড় খবর হলো- এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্যারিসে। নিজের দেশেই অনিরাপদ হয়ে গেছেন এই ফরোয়ার্ড। পিএসজির কট্টরপন্থি সমর্থকরা তাকে হুমকিও দিয়েছে।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ব্যানার। এমবাপ্পের ক্লাব পিএসজির হোম ভেন্যু পার্ক দে প্রিন্সসের বাইরে ওই ব্যানারটি ঝুলিয়েছে কট্টরপন্থি সমর্থক গোষ্ঠী ‘কালেক্টিভ আল্ট্রাস প্যারিস’। যেখানে লেখা রয়েছে ‘কে এম (কিলিয়ান এমবাপ্পে): ৩০ জুনের অপেক্ষায় আছি।’ অর্থাৎ সমর্থকরা এমবাপ্পেকে বিদায় দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তাদের এমন ব্যানারে এক অজানা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এমবাপ্পের জন্য। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে।

লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের পিএসজি অধ্যায়ের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল এই সমর্থকরা। মাঠে তো ক্রমাগত দুয়ো দিয়েই গেছে, এমনকি নেইমারের বাড়ির সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করেছিল কালেক্টিভ আল্ট্রাস প্যারিস। সামনের দিনগুলোয় এমবাপ্পেকেও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অবশ্য এমবাপ্পের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে এ পিএসজি সমর্থকদের অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে দুয়ো না দেন।

শুধু মাঠের বাইরে নয়, মাঠেও এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। দলের প্রধান অস্ত্র এমবাপ্পেকে টানা তিন ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ দেয়নি কোচ লুইস এনরিকে। এ নিয়ে ফরাসি তারকার ক্ষুব্ধ হওয়ার কথাও জানিয়েছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে এমবাপ্পেকে না খেলানোর ব্যাখ্যায় পিএসজি বস এনরিকে বলেছেন, তাকে বাদ দিয়ে খেলায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্যই এমনটা করছেন তিনি। এনরিকের এমন ব্যাখ্যায় অবশ্য খুশি নন এ ফরাসি তারকা। তার দাবি, ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাদ দেওয়া হচ্ছে তাকে।

সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, পিএসজিতে এমবাপ্পের আগামী কয়েক মাস বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে। নিজের দেশেই যেন অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছেন ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো এই তারকা। তবে সেটার পরিমাণ সময়ই বলে দেবে।