ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগে নগরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভাংচুর চালিয়েছে রোগীর স্বজনরা। জরুরী সেবার ব্যবস্থা না রেখে সিজারিয়ান অপারেশনের ফলে মৃত্যুর এই অভিযোগ উঠেছে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরীন চৌধূরী সুমি’র বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। বুধবার রাতে মিরবক্সটুলার ডেল্টা স্পেশাইলাইজড হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারা যাওয়া রোগীর নাম সাদিকা আক্তার। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনয়নের রাজাগঞ্জ গ্রামের আফ্রিকা প্রবাসি রাহেল আহমদ এর স্ত্রী।
রোগীনীর ভাই শাহেদ আহমদসহ স্বজনরা জানান, বুধবার সন্ধা ছযটার দিকে গর্ভবতী সাদিকা আক্তারকে নিয়ে মীরবক্সটুলার ডেল্টা ক্লিনিকে আসেন স্বজনরা। ভর্তি করা হয় ১০৩ নম্বর কক্ষে। এ সময় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন ডা. সুমী। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার জন্য বলেন। কর্তব্যরত রত চিকিৎসক জানান, রোগীর অবস্থা ভালো না। ‘সুমী ম্যাডাম’ আছেন। এখনই অপারেশন করে দিবেন। এ সময় রোগীনীর অপারেশনপূর্ব কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সাদিকাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার এক পূত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তখন রোগীনীকে জরুরীভাবে আইসিইউ সমৃদ্ধ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে ডাক্তার নিজেই নর্থ ইস্ট হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ওখানে গেলে আমার লোকজন আছে। চিকিৎসা ভালো হবে। তখন রোগীকে সেখানে নেয়া হয়। নর্থ ইস্টের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ সময় রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তখন রোগীর স্বজনরা আনিকাকে নিয়ে আবারও ডেল্টা হাসপাতালে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স সবাই সটকে পড়েন। এতে রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। সেখানে পরে গণ্যমান্যদের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। ক্লিনিকের ম্যানেজার ওয়াসিম এ ব্যাপারে লিখিত মুচলেকা দেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে রোগীর মৃত্যুর ব্যাপারে তাদের ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তার জবাব দেবেন। তাঁ দেয়া মুচলেকা নিয়েই স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সালাহ্উদ্দিন শুভ ,মোবাইল : 01710668127 ইমেইল : protidinermoulvibazar@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রতিদিনের মৌলভীবাজার | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।